টোকিও: জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে আরও ছয় থেকে নয় মাস সময় লাগবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) রোববার এ তথ্য জানায়।
টেপকো আগামী তিন মাসের মধ্যে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়া কমাতে পারবে বলেও জানিয়েছে। চুল্লিগুলোর পুরোপুরি শীতল করতে নয় মাস সময় লাগবে। প্রতিষ্ঠানটি চুল্লির ভবনটি ঢেকে ফেলারও পরিকল্পনা করছে।
গত ১১ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার লোক নিহত ও আরও ১৪ হাজার নিখোঁজ রয়েছে। প্রাকৃতিক ওই বিপর্যয়ে জাপানের মিয়াগিসহ বেশ কয়েকটি শহর বিধ্বস্ত হয়। এখনো ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে জাপান সরকার।
পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করতে টেপকো রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সংক্ষিপ্ত সফরে জাপানে গেছেন। জাপানের পুনর্নির্মাণে তিনি সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এ মুহূর্তে সমুদ্রের পানিতে সমুদ্রের পানিতে তেজষ্ক্রিয়তা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৬৫০০ গুণ বেশি। টেপকো আশঙ্কা করছে, নতুন করে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে।
টেপকোর চেয়ারম্যান সুনেহিসা কাতসুমাতা রোববার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে তাদের সর্বোচ্চ নয় মাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, এ পরিকল্পনা অনুসারে লাখো মানুষ তাদের আগের জায়গায় (ফুকুশিমা) ফিরে যেতে পারবে।
কাতসুমাতা বলেন, ‘সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ’
এর আগে জাপান সরকার টেপকোকে চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সময়সীমা নির্ধারণের আদেশ দেয়। বিশ্লেষকরা জানান, টেপকোর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সংকট কাটবে কি না তা নিশ্চিত না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১১