ব্যাংকক: থাকসিন সরকারের পতনের পর রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক বিভক্ত থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন আগামী জুলাইয়ের প্রথম দিকে। সোমবার দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী অভিজিত ভেজাজিভা সোমবার এমন সম্ভাবনার কথা বলেছেন।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট অভিজিত এর আগে বলেছিলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মে মাসের প্রথমদিকে তিনি পার্লামেন্টর নিম্ন কক্ষ ভেঙে দিবেন।
তার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে জুনের শেষ অথবা জুলাইয়ের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
যদি যথাসময়ে নির্বাচন হয় তাহলে অভিজিতের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক পার্টি নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবে এমন তরুণদের সামনে এক বক্তব্যে সোমবার অভিজিত বলেন, এটা পরিস্কার যে আগামী জুনের শেষ অথবা জুলাইয়ের প্রথমদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজ্যে বয়ে যাওয়া অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার এক বছর পর একটি নির্বাচন দেশের অগ্রগতির জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে।
গত বছরের এপ্রিল ও মে তে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ফলশ্রুতিতে থাইল্যান্ডের সমাজ এখন বিভক্ত। গত কয়েক দশকের মধ্যে এই ভয়াবহতম সহিংসতায় রাজধানী ব্যাংককের রাজপথে সরকারবিরোধী এবং সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সরকারবিরোধী ‘লাল শার্ট’ বিক্ষোভকারীরা তাৎক্ষণিক নির্বাচন দাবি করে রাস্তায় অবস্থান নেয়। এসময় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র প্রতিরোধে ৯০ জনের প্রাণহানী ঘটে যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামারিক লোক।
‘লাল শার্ট’ বিক্ষোভকারীদের যুক্তি অভিজিতের সরকার অগণতান্ত্রিক কারণ, তারা ২০০৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর মদদে ক্ষমতায় এসেছে। এর আগে আদালতের রায়ে থাকসিন সরকারের পতন ঘটে।
প্রসঙ্গত লালশার্ট বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার জোর সমর্থক। সম্প্রতি তারা রাজধানীতে একাধিক শান্তিপূর্ণ র্যালি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১১