ত্রিপোলি: লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ, বোমা বিস্ফোরণ বা বেসামরিক কোনো লোক হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। লিবিয়ার বিভিন্ন শহর পরিদর্শন শেষে ব্রিটেনের একদল নাগরিক এ তথ্য জানান।
যদিও জাতিসংঘ, আফিকান কোর্ট ফর হিউম্যান রাইটস ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও তাদের ওপর বিমান থেকে বোমা হামলার ব্যাপক অভিযোগ করে আসছে।
ব্রিটিশ সিভিলিয়ানস ফর পিস ইন লিবিয়া সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন ডেভ রবার্টস। তিনি ব্রিটেনের সোশ্যালিস্ট লেবার পার্টির একজন নেতা। এছাড়া ১৩ সদস্যের এ দলে রয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও বিভিন্ন মানবাধিকার ও রাজনৈতিক কর্মী। এদের কেউ কেউ রামাল্লা ও গাজার শান্তি মিশনেও ছিলেন। গত সপ্তাহে তারা ত্রিপোলিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ঘুরে এসেছেন।
ত্রিপোলি পরিদর্শনের পর এই গ্রুপের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ‘ন্যাটোর বোমা নিক্ষেপের কারণেই সেখানে লোক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে ত্রিপোলির তিনটি স্থান ঘুরে সরকারি বাহিনীর বোমা বিস্ফোরণে কোনো হত্যার ঘটনা পাওয়া যায়নি। ’
গ্রুপটি জাবিয়াহ, বিন ওয়ালিদ, তাজুরা, ফাশলুম ও সুক জুমা শহর পরিদর্শনে যায়। গ্রুপটির প্রতিবেদনে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোরও সমালোচনা করা হয়। তারা জানায়, ‘সংঘর্ষের ব্যাপারে বস্তুনিষ্ঠভাবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো সংবাদ পরিবেশন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ’
ত্রিপোলিতে একটি সংবাদ সংম্মেলনে রবার্টস সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এর একটি কারণ হচ্ছে, আপনাদের (মুখ) তালা মেরে রাখা হয়েছে। আপনাদের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ। ’
এদিকে, লিবিয়ার সরকার ব্রিটেনের উদ্দেশে স্বতন্ত্র তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির উপপররাষ্ট্রমমন্ত্রী খালিদ কাইম বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠান। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১১