ঢাকা: চলতি শতকে বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আকাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে বাড়বে বেশি। আর বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণ আর্কটিক অঞ্চলের দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে পড়া।
এতে আরও বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের এই উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নিচু দ্বীপ এবং লন্ডন থেকে চীনের সাংহাইসহ বিভিন্ন শহর হুমকির মুখে পড়বে।
আর্কটিক মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৫ দশমিক ২ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে।
অসলোভিত্তিক আর্কটিক পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মসূচি (এএমএপি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ মেরুর আটটি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠন আর্কটিক কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড।
আগামী ১২ মে গ্রিনল্যান্ডে আর্কটিক কাউন্সিলের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এতে যোগ দেবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয়টি বছর (২০১০ পর্যন্ত) আর্কটিক অঞ্চল ইতিহাসের উষ্ণতম সময় পার করেছে। ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তিন থেকে ৫ দশমিক ২ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে, আর্কটিকের হিমবাহ, অতিকায় বরফটুপি (আইস ক্যাপ) ও বরফ-আস্তরণের (আইস শিট) গলে পড়া।
এদিকে জাতিসংঘের আন্ত:সরকার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল (আইপিসিসি) ২০০৭ সালে এক সমীক্ষায় জানায়, ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৭ থেকে ২৩ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়বে। তবে ওই সমীক্ষায় মেরু অঞ্চলের সম্ভাব্য বরফ গলে পড়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়নি।
এএমএপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ১৯৮০ সাল থেকে আর্কটিক অঞ্চলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ছিল দ্বিগুণ। আর গত দুই হাজার বছরের তুলনায় তা ছিল সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১১