ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লাদেনের মেয়ের ভাষ্য

বাবাকে জীবিত ধরে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১১
বাবাকে জীবিত ধরে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়

ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী নেভি সিলস-এর সদস্যরা প্রথমে লাদেনকে জীবিত অবস্থায় ধরে। এরপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যা করে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লাদেনের মেয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
 
কমকর্তারা জানান, যে ছয়টি শিশুকে তিনতলা ওই ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে একটি লাদেনের ১২ বছর বয়সী মেয়ে। ওই মেয়ে পাকিস্তানি তদন্ত কর্মকর্তাদের জানায়, আমেরিকান কমান্ডোরা তার বাবাকে জীবিত অবস্থায় আটক করে। পরে পরিবারের সদস্যদের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করে।

রোববার রাতে মার্কিন নেভি সিলস-এর সদস্যরা পাকিস্তানের আবোটাবাদের অঞ্চলের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাদেনকে গুলি করে হত্যা করে।  

অভিযান শেষে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবন থেকে চারটি গুলিবিদ্ধ লাশ এবং জীবিত অবস্থায় ছয়টি শিশুসহ দুজন নারীকে উদ্ধার করে।

শিশুদের বয়স দুই থেকে ১২ বছরের মধ্যে। কোনো কোনো গণমাধ্যমে শিশু ও নারীসহ ১৬ জনকে আটক করার খবর বেরিয়েছে। এদের বেশিরভাগই সৌদি নাগরিক।        

পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, লাদেনের পরিবারের সদস্যদের ইসলামাবাদের পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপি-িতে নেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে তাদের সেখানে নেওয়া হয়। এখানে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আর একটি সূত্র জানায়, লাদেন সম্ভবত তার পায়ে অথবা কাঁধে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন। লাদেনের স্ত্রী ছাড়া অন্য যে ইয়েমেনি নারীকে আটক করা হয়েছে, তিনি সম্ভবত লাদেনের পারিবারিক চিকিৎসক। লাদেন খুব সম্ভব কিডনির অসুখে ভুগছিলেন।

সূত্রগুলো অনুমান করছে, হেলিকপ্টারে এতো লোক নেওয়ার স্থান না থাকার কারণে অভিযানে অংশ নেওয়া নেভি সিলসের সদস্যরা শিশু ও নারীদের আটক করেনি।

কর্মকর্তারা জানান, অপর যে নারী নিহত হয়েছেন তিনি লাদেনের স্ত্রী অথবা খুবই ঘনিষ্ঠ কেউ ছিলেন। একজন কর্মকর্তা জানান, অভিযান চলাকালে ওই নারী হয়তো লাদেনকে চারপাশে ঘিরে ছিলেন।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন, ওই ভবনে হামলার সময় লাদেন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলেননি। তিনি সম্পূর্ণ একা ছিলেন। তার হাতে কোন অস্ত্রশস্ত্র ছিল না।

কর্মকর্তারা জানান, ওই বাড়িটি আরশাদ খান এবং তারিক খান নামের দুই ভাইয়ের। তারাও ওই বাড়িতে লাদেনের সঙ্গে থাকতেন। তাদের আদি বাড়ি ছিল চরসাদা জেলার টাঙ্গিতে। তবে তাদের পেশা এবং আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।  

কারি মাসতানা খান নামের একজন প্রতিবেশি জানান, ওই বাড়ির সদস্যরা খুব রক্ষণশীল ছিলেন। বিয়ে বা শেষকৃত্যে অংশ নিত না। তবে তারা খুবই হৃদয়বান ছিলেন। রমজানের সময় তারা প্রতিবেশিদের নিমন্ত্রণ করতেন এবং দামি দামি খাবার খাওয়াতেন।  
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।