ওয়াশিংটন: মার্কিন বিশেষ বাহিনীর বিন লাদেন অভিযান এবং নিরস্ত্র আল কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা বৈধ ছিল বলে দাবি করেছে ওবামা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। নিজেদের প্রতিরক্ষার খাতিরে এ অভিযান আইনসঙ্গত ছিল বলে বুধবার সিনেটে প্রশ্নোত্তরে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানের আকাশসীমায় মার্কিন বাহিনীর অনুপ্রবেশ নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠেছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, এ অভিযানে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে।
লাদেন হত্যা অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এখন সন্দেহের সৃষ্টি করছে। তারা বলেছিল, পাকিস্তানের আবোটাবাদে রোববার পরিচালিত মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে লাদেনকে জীবিত ধরার পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু পরদিন সোমবার বলে, বিন লাদেন সশস্ত্র ছিলেন এবং প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাকে গুলি করা হয়। পরে আবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কার্নি বলেন, সে সময় বিন লাদেন নিরস্ত্র ছিলেন।
নিরস্ত্র লাদেন কীভাবে প্রতিরোধের চেষ্টা করলেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি মি. কার্নি।
এ নিয়ে সিনেটে এক শুনানিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার বলেন, অভিযান বৈধ ছিল এবং মার্কিন মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
হোল্ডার বলেছেন, অভিযানের বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এটি আন্তর্জাতিকভাবেই ন্যায়সঙ্গত ছিল। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে বলেছে যদি সম্ভব হত তাহলে তারা বিন লাদেনকে জীবিত আটক করত। আমি বুঝতে পারছি, বিষয়টি খুব কঠিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ’
সিনেট জুডিসিয়ারি কমিটির এক প্রশ্নের জবাবে হোল্ডার বলেন, যদি তিনি আত্মসমর্পনের চেষ্টা করতেন তাহলে তাকে হত্যা করা হতো না। কিন্তু তার মধ্যে তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। সুতরাং বিশেষ বাহিনী ঠিক কাজই করেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারাও এ কথার পূর্ণ সমর্থন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১১