ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মৃতের সংখ্যা ৭,২৫০

নেপালে সকাল থেকেই দফায় দফায় ভূমিকম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৫
নেপালে সকাল থেকেই দফায় দফায় ভূমিকম্প

ঢাকা: আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালে আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

সোমবার (০৪ মে) তিন দফায় এ কম্পন অনুভূত হয় বলে জানা গেছে।

রিখাটর স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৩ ও ৪ দশমিক ৫। এগুলো বড় মাত্রার কোনো ভূমিকম্প না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

গত ২৫ এপ্রিলের ৭ দশমিক ৯ মাত্রার মূল ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত একশ’ ২০টির বেশি ‘আফটার শক’ বা পরাঘাত অনুভূত হয়েছে নেপালে। প্রতি পরাঘাতের পরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জনমনে। ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না সেখানকার কেউই।

এদিকে, স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার দুইশ’ ৫০ জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এর আগে প্রলয়ংকারী এ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা।

এছাড়া এ ঘটনায় ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার।

এদিকে, ভূমিকম্পে অন্তত আশি লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে দশ লাখই শিশু বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

এছাড়া অন্তত পাঁচ লাখ বাড়িঘর আংশিক অথবা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অন্তত দুই লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ভূকম্পনের পর  সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে সুব্যবস্থার অভাবে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবেও রয়েছে নেপালের জনগণ।

এদিকে, রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্রিভূবনে বড় ধরণের প্লেন ওঠা-নামা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের একমাত্র রানওয়েটি মাঝারি ধরণের প্লেন ওঠা-নামার জন্য প্রস্তুত।

দুর্যোগের পর থেকেই ত্রানসামগ্রী ও উদ্ধারকর্মীদের বহনকারী বড় ধরণের প্লেন ওঠা-নামা শুরু করে এখানে। ফলে রানওয়েতে ফাঁটল ধরে যায় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক বিরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মে ০৪,২০১৫/ আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা
কেএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।