আবোটাবাদ: পাকিস্তানে লাদেনের আবোটাবাদের সেই বাড়িটি এখন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লাদেনের মতো একজন ভয়ঙ্কর ব্যক্তির গত ছয় বছর ধরে আত্মগোপন করে থাকা কম্পাউন্ডটি তীব্র আকর্ষণে টানছে উৎসাহী মানুষদের।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাড়িটি মাজারে পরিণত হবে। লাদেনের যাতে মাজার না হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র তার মরদেহ সমুদ্রে সমাহিত করেছে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী যদিও বাড়িটি ঘিরে রেখেছে এবং এর সদর দরজা বন্ধ তবুও শত শত মানুষ উপচে পড়ছে এখানে। তদন্ত শেষে সাধারণের জন্য বাড়িটি খুলে দেওয়া হবে।
বিশেষ করে স্থানীয় ছেলে-পুলের ভীড়টাই বেশি। দর্শনার্থীদের সংখ্যাও কম নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আশপাশের এলাকা থেকেও অনেকে এসেছেন এখানে। সাংবাদিকরা তো আছেনই।
এ স্থানটি পর্যটন এলাকা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আলি আব্বাস (৪৩) নামে একজন তো রীতিমতো প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তার দাবি, ইউরোপ আমেরিকা থেকেও বহু লোক এখানে আসবে।
আব্বাস বলেন, পশ্চিমারা তো সব খেপাটে। যদি এটা পর্যটন এলাকা ঘোষণা করা হয় তাহলে স্থানীয়রা আসুক না আসুক বিদেশিরা আসবেই। এ শহরের জন্য এটা খুব ভাল হবে। মানুষের দেখে যাওয়া উচিত বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কোথায় থাকত।
তিনি আরো বলেন, ভবনটি একেবারে অক্ষত রাখতে হবে যাতে এটি ইতিহাসের একটি অংশ হিসেবে থেকে যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত গণমাধ্যমের লোকদের ভেতরে ঢুকে ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া।
অনেকে মনে করছেন, এটি জাদুঘরে পরিণত করলে সন্ত্রাসীদের তীর্থক্ষেত্র হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাতে নিরাপত্তা সমস্যা দেখা দিবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১১