ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিঙ্গাপুরে শনিবার সাধারণ নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১১
সিঙ্গাপুরে শনিবার সাধারণ নির্বাচন

সিঙ্গাপুর: আধুনিক নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শনিবার । এটি হবে দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচন।



আধুনক সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রের ইতিহাসের ষোড়শ এই নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।   দেশটির নাগরিকদের চোখে তো বটেই, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর চোখেও এই নির্বাচন গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করছে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খুঁজে নেবে। আর এই আগামী নেতৃত্ব  হবে আগাগোড়া প্রযুক্তিবান্ধব, আধুনিকতামনস্ক আর ভবিষ্যমুখি।

রাজপথের প্রচারাভিযানের পাশাপাশি ক্রমশ আধুনিক এই নগররাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের বাহন হয়ে উঠেছে ফেইসবুক, টুইটার, মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্স আর হালফিল প্রযুক্তির যাবতীয় সুবিধা।  

এর আগে দেশটির প্রসিডেন্ট এস আর নাথান গত ১৯ এপ্রিল পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন। নিয়ম অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৭ এপ্রিল ছিল নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর প্রার্থীরা প্রচার চালানোর জন্য নয়দিন সময় পেয়েছেন। এরপর ছিল প্রচারবিহীন একটি দিন, যে দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবে নির্ধারিত। ভোটাররা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করার, গভীরভাবে ভাবার সুযোগ হিসেবে কাজে লাগান এই দিনটিকে ।  

এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২৩ লাখ ১১ হাজার ৫শ’ ৮২ জন ভোটার। ২৭টি নির্বাচনী এলাকার ৮৭টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১২টি একক প্রতিনিধিত্বশীল (এসএমসি) এবং ১৫টি দলগত প্রতিনিধিত্বশীল (জিআরসি) নির্বাচনী এলাকা।

সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট পাঁচ বছর মেয়াদি। মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙ্গে দেন। দেশটিতে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীন নির্বাচন বিভাগ নির্বাচনের আয়োজন করে।

এই নির্বাচন সিঙ্গাপুরের পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব কী হবে তা ঠিক করে দেবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পুরনো নেতৃত্বের স্থলে দেশ যদি নতুন নেতৃত্ব পায়, তবে তাতে ‘ভবিষ্যমুখি এক নবতরঙ্গের সূচনা’ ( অ্যাডভেন্ট অব ফিউচার ফেসিং নিউ ওয়েভ) হবে । ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টিও (পিএপি) এমন বার্তাই ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

অন্যদিকে বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি) নির্বাচনকে সিঙ্গাপুর এবং নিজেদের  জন্য কঠিন এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করছে। কারণ তাদের দুই শক্তিশালী প্রার্থী নিজেদের শক্ত ঘাঁটি ছেড়ে জিআরসি এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এক নজরে সিঙ্গাপুর:

দেশের নাম: রিপাবলিক অব সিঙ্গাপুর
অবস্থান: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল
জনসংখ্যা: ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪২ (২০১০)
রাষ্ট্রপ্রধান: প্রেসিডেন্ট সেলাপান রামা (এ আর নাথান)
সরকার প্রধান: প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং
সংসদীয় নির্বাচন: ৭ মে, ২০১১
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: আগস্ট, ২০১১
সংসদ: ৯৪ আসনের এককক্ষ বিশিষ্ট

নির্বাচন পদ্ধতি:

প্রেসিডেন্ট: ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন

প্রধানমন্ত্রী: প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত

পার্লামেন্ট: এসএমসি কর্তৃক নয় জন, জিআরসি কর্তৃক ৭৫, নয় জন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত এবং নয় জন একটি জাতীয় কমিটি থেকে নির্বাচিত করা হয়। এরা সবাই পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী: নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভকারী দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।

প্রধান প্রধান দল এবং নেতা:

পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)- লি সিয়েন লুং
ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি)- লো থিয়া খিয়াং
সিঙ্গাপুর পিপলস পার্টি (এসপিপি)- সিয়াম সি টং
সিঙ্গাপুর ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসডিপি)- চি সুন হুয়ান
রিফর্ম পার্টি- কেনেথ জিয়ারত্নম
ন্যাশনাল সলিডারিটি পার্টি (এনএসপি)- গোহ মেং সেং।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।