দামাস্কাস: সিরিয়াতে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ২৬ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন। সরকারি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের ভাষায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ সদস্য নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনমূলক আচরনের দায়ে সিরীয় সরকারের ১৩ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পদ জব্দ ও সব ধরনের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের পর এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাশাররের বিরুদ্ধেও এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কিনা তা স্থির করতে তারা সোমবার আবার বসবেন।
এদিকে, সিরিয়া যদি বিক্ষোভকারীদের ওপর এমন সহিংস আচরন বন্ধ না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার মানবাধিকার সংগঠন ইনসান বলেছে, শুক্রবারের র্যালিতে ২৬ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল হোমস শহরে নিহত হয়েছে ১৬ জন এবং ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় শহর জাবলেহতে দুই জন বিক্ষোভকারীর নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে বাকি দুজন কোথায় নিহত হয়েছেন সে খবর তারা দিতে পারেন নি।
তারা জানায়, তাদের কাছ আরো ২৭ জনের নামের তালিকা রয়েছে। এগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
বিক্ষোভর্যালির সময় গ্রেফতার ও শাস্তি এড়াতে বিক্ষোভকারীদের কাছাকাছি পুলিশ স্টেশনে স্বেচ্ছায় হাজিরা দিতে লাউড স্পিকারে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানায় একাধিক মানবাধিকার কর্মী।
এদিকে, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে হোমসে ১০ জন সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ কাজ করেছে বলে তাদের দাবি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১১