ওয়াশিংটন: অ্যাবোটাবাদের ওই কম্পাউন্ডে আত্মগোপনে থেকেও আল কায়েদার কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন ওসামা বিন লাদেন। বাড়িটি থেকে জব্দ করা নথিপত্রে পাওয়া তথ্যে এমনটিই অনুমান কর যায় বলে শুক্রবার জানিয়েছেন একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা।
তিনি জানান, আল কায়েদা এবং ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় এর মিত্রদের পরিচালিত হামলার পরিকল্পনা এবং দিক নির্দেশনা দিতেন তিনি। এছাড়া, আল কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এমনকি পাকিস্তানিরা তাদের সমর্থন ও আশ্রয় দিয়ে থাকে বলে নথিতে তথ্য রয়েছে।
আরব উপদ্বীপ এলাকায় ইয়েমেন ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন এবং সোমালিয়ার আর শাবাব বাহিনীর কার্যক্রমে আল কায়েদা প্রধান বিন লাদেন ও গ্রুপটির শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
তবে, এখন এসব তথ্যের ভিত্তিতে এ বিশ্বাসের ভিত্তিই দৃঢ় হলো যে, এ অঞ্চলে বিন লাদেনের যথেষ্ট সম্পৃক্ততা ছিল এবং সকল কৌশলগত নির্দেশনা তিনি নিজেই দিতেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এমনটিই মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রাপ্ত তথ্যে এ বিষয়টিও স্পষ্ট বিন লাদেন সবসময় নিজের নিরাপত্তাকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন। তবে হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়ায় যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন তিনি।
গত ছয়বছর ধরে অ্যাবোটাবাদের ওই কম্পাউন্ডে থাকা অবস্থায় মোবাইল, ইন্টারনেট বা যোগাযোগের কোনো ধরনের আধুনকি প্রযুক্তি তিনি ব্যবহার করতেন না। এসবকাজ বার্তাবাহকদের মাধ্যমেই করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, কম্পাউন্ড থেকে উদ্ধার করা প্রচারনামূলক অডিও টেপ এবং ভিডিও ফুটেজ শিগগির জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। তবে নিহত বিন লাদেনের ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়নি।
কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্যগুলো ঘেঁটে দেখা হয়েছে। তবে আল কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড আইমান আল জাওয়াহিরির অবস্থান সম্পর্কে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। বিন লাদেনের মৃত্যুর পর তাকেই আল কায়েদার পরবর্তী নেতা মনে করা হচ্ছে।
হাতে লেখা নোট এবং কম্পিটারে রক্ষিত তথ্যগুলো থেকে আল কায়েদার পরবর্তী হামলার লক্ষ্য চিহ্নিত করতে কাজে লাগবে বলে মনে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা মে ০৭, ২০১১