ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্র আশা করে পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা নারীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেবে দেশটি। খবর এএফপির যে তিনজন মহিলা এখন পাকিস্তানের হাতে আটক আছেন, ধারণা করা হয় তারা সবাই লাদেনের স্ত্রী।
২ মে মার্কিন নেভি সিলস বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে নিহত হন। ওই সময় মার্কিন বাহিনী লাদেনকে নিয়ে গেলেও বিমানে স্থানসংকুলানের কারণে অনেককে নিয়ে যেতে পারেনি। তাদের মধ্যে লাদেনের ওই তিন স্ত্রীও ছিলেন।
লাদেনের ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত ওই স্ত্রী পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, লাদেন অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে পাঁচ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। ওই স্ত্রী ২মের অভিযানে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
২মে মার্কিন বিশেষ বাহিনী পাকিস্তানের কোন অনুমতি ছাড়াই অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এই নিয়ে যখন দেশ দুটির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে লাদেনের স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চাইছে।
লাদেন নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে যে, লাদেন যে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর স্থাপনার কাছে অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে ছিলেন তাতে পাকিস্তানের বিশেষ করে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সম্মতি ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রোববার বলেন, লাদেনের পাকিস্তানে থাকার বিষয়ে অবশ্যই কোন সহায়তা নেটওয়ার্ক ছিল।
এদিকে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সোমবার পার্লামেন্টে লাদেনের অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে অবস্থানের বিষয়ে দেশটির কোন যোগসাজেশের কথা নাকোচ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১১