হোমস: সিরিয়ার সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রস্থল হোমস শহরে ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভে সরকারের দমন-পীড়নের ধারাবাহিকতায় বুধবার শহরটির আবাসিক এলাকায় হামলা চলছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, শহরের আবাসিক এলাকা বাব আমরোতে বুধবার সকাল থেকেই হামলা শুরু হয়েছে।
দক্ষিণে দেরা শহরের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং পশ্চিমে রাজধানী দামাস্কাসের শহরতলীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
হাজার হাজার বেসামরিক লোককে আটক এবং কয়েকশ লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে সিরীয় সরকার দাবি করছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এসব হত্যাকা- ঘটাচ্ছে। এদের ধরতেই এ তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
তারা বলছে, বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকসহ দেড়শ মটরবাইক জব্দ করা হয়েছে। এগুলো সন্ত্রাসীরা সহিংস কর্মকা-ে ব্যবহার করত।
এদিকে জাতিসংঘের কূটনীতিকরা বলছে, সিরীয় সরকারের এমন দমনমূলক আচরনের কারণে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের পদ পেতে সিরিয়ার প্রার্থীতা বাতিল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। তবে, কোনো কর্মকর্তার সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে নমনীয় আচরন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও স্বাধীনতার আহ্বানে সাড়া দিতে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি আমি আবারো আহ্বান জানিয়েছি। শান্তিকামী বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং গণপ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকার কথাও বলেছি।
তবে, গত মার্চে শুরু হওয়া বিক্ষোভের পর দেরা শহরে আন্তর্জাতিক সহায়তা মূল্যায়ন টিম প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মি.বান। অথচ প্রেসিডেন্ট বাশার এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১