ঢাকা: কাঁচা সুশি মাছ গোগ্রাসে গিলে এখন মুমূর্ষু অবস্থা এক চীনা ভোজনরসিকের। যেসব সুশি খণ্ড তিনি গিলেছেন, সেসব শরীরে গিয়ে ফিতাকৃমি হয়ে গেছে! আর সেসব ফিতাকৃমির যন্ত্রণায় এখন ছটফট করছেন তিনি।
জাপানজুড়ে ভোজনরসিকদের কাছে সুশি মাছের রেসিপি অনেক বেশি ‘স্বাদের’ খাবার, বিশেষত সুশির সাশিমি স্লাইচ বা কাঁচা খণ্ড। ব্যয়বহুল সুশির এই কথিত জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে চীন, কোরিয়া প্রভৃতি দেশেও। তবে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুশি খাওয়ার পর বিভিন্ন রকমের অসুস্থতায় ভোগার খবরও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, চীনের পূর্বাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের ওই ব্যক্তি সম্প্রতি ভীষণ পেটব্যথা ও চামড়ার যন্ত্রণা নিয়ে নিকটস্থ গুয়াঝু পিপলস (৮ নম্বর) হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শরীর এক্স-রে করার পরামর্শ দেন।
আর এক্স-রে তেই উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র। দেখা যায়, ওই ব্যক্তির পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে ফিতাকৃমি। আর এই বিপর্যয় এসেছে অনেক বেশি পরিমাণে সাশিমি খেয়ে ফেলায়।
চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, ওই চীনা ব্যক্তি যে সাশিমি বা কাঁচা মাছ খেয়েছেন তা অনেক বেশি দূষিত ছিল। দূষিত খাবারই তার শরীরে ঢুকে ফিতাকৃমি হয়ে গেছে! এই মুমূর্ষু অবস্থা থেকে সারানোর জন্য তাকে এখন গুয়াঝু পিপলস হাসপাতালেই ভর্তি রাখা আছে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, জাপানে জনপ্রিয় আরও কিছু কাঁচা মাছ ও মাংস এরকম দূষিত থাকে। কিন্তু ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো যাচ্ছে না।
কেবল গুয়াঝু পিপলস (৮ নম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসকরাই নন, জাপানি কথিত সুস্বাদু মাছ-মাংসের কাঁচা রেসিপিগুলো নিয়ে অনেক আগ থেকেই সতর্ক করে আসছেন চিকিৎসা বিষয়ক গবেষকরা।
তাদের মতে, কাঁচা ও অথবা রান্না করা হয়নি এমন মাছ-মাংস এ ধরনেরই কৃমি বা অসুস্থতা ছড়াতে পারে আহারকারীর শরীরে। কৃমি গিজগিজ করতে পারে মগজ পর্যন্ত গিয়েও।
কিন্তু ওই চীনা ব্যক্তির মতো হাসপাতালের বেডে না শোওয়া পর্যন্ত অনেকেই সতর্কতা মানেন না।
বাংলাদেশ: ১২২৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
এইচএ/