ঢাকা: এক বছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রায় ৪ হাজার ৩শ হিন্দু এবং শিখ শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। এই সংখ্যা বিগত কংগ্রেস সরকারের সবশেষ পাঁচবছরের চার গুণ।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দু শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকের মতো মর্যাদা পাবে। একইসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথা, ভারত ছিলো ‘নির্যাতিত হিন্দুদের প্রাকৃতিক ঘর’।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া প্রায় দুই লাখ হিন্দু ও শিখ শরণার্থী বর্তমানে ভারতে বসবাস করছে।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে ২০১৪ সালের মে মাসে। এরপর মধ্যপ্রদেশে ১৯ হাজার শরণার্থীকে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গুজরাটে ১১ হাজার এবং রাজস্থানে ৪ হাজার শরণার্থীকে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা।
গত এপ্রিল মাসে এসব শরণার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা পাওয়া সহজ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি চালু করে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ- যারা ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়, তাদের কষ্ট লাঘবে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে রাজস্থানের যোধপুর, জয়সালমির, বিকানের ও জয়পুরে পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দুদের বসবাসের জন্য প্রায় ৪শ স্থাপনা রয়েছে।
আর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীদের অধিকাংশের বসবাস পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। অপরদিকে শিখ শরণার্থীদের অবস্থান পাঞ্জাব, দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের পাঁচবছরে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলো ১ হাজার ২৩ জন হিন্দু ও শিখ শরণার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এএ