ঢাকা: সন্ত্রাসী হামলার পর মিশরের উত্তরাঞ্চলের সিনাইয়ে কার্যত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। হামলাকারী জঙ্গিদের দমন করতে সেখানে তৎক্ষণাৎ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১ জুলাই) সিনাইয়ের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অন্তত পাঁচটি সেনা তল্লাশি কেন্দ্রে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৩০ সৈন্যসহ অর্ধশত লোক নিহত হয়। ধ্বংস হয়ে যায় সেনাবাহিনীর কিছু বাহনও। গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চালানো এ হামলায় অংশ নেয় ৭০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, শেখ জুয়েদ শহরের কাছে বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলার পর সেনাবাহিনীসহ সরকারি পক্ষের সঙ্গে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ এখনও চলছে।
রক্তক্ষয়ী এসব সংঘর্ষ থামাতে এবং জঙ্গিদের দমন করতে জরুরি ভিত্তিতে সিনাইয়ের উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে কায়রো। যুদ্ধবিমানগুলো জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনীর সার্বিক সহায়তায় থাকছে। এছাড়াও সম্প্রতি অনেক বেশি অস্থিতিশীল হয়ে পড়া সিনাইয়ের ব্যাপারে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারও চিন্তা করছে মিশর সরকার।
অন্যদিকে তেলআবিব সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গি দমনে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া অভিযানের খবরে বিরূপ প্রভাব এড়াতে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া, সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় দু’টি তল্লাশি কেন্দ্রের প্রায় সব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যই নিহত হয়েছেন। হামলার পর সংশ্লিষ্ট এল-আরিশ মর্গ বিভাগ এখন পর্যন্ত ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় ৩০ সেনা নিহত হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মিশরীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ দাবি করে, সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ২২ সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে। তাই, হতাহতের সংখ্যা নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রকমের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিভাগের খবর অনুযায়ী, ২২ সন্ত্রাসীসহ এ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। তবে, এ সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বড় ধরনের এ সংগঠিত হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাক ও সিরিয়া অঞ্চলের জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
এইচএ/
** মিশরে হামলায় ৩০ সৈন্যসহ নিহত ৫২