ঢাকা: ভারতের পাঞ্জাবে একটি থানা ও বাস টার্মিনালে হামলার পর সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে অভিযানে নেমেছে রাজ্যের কমান্ডো পুলিশ। হামলায় অংশ নেওয়া চার সন্ত্রাসীই থানা ভবনের ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) ভোরের এ হামলার পর ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষত পাঞ্জাব রাজ্য ও মুম্বাই, পুনে, নাগপুর ও নাশিকসহ পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন এলাকায়ও। এছাড়া, পাঞ্জাবের বেশ কিছু এলাকার স্কুল কলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানকোটগামী ট্রেন সার্ভিস।
ভোর পৌনে ৬টার দিকে দিনানগর বাস টার্মিনালে জম্মুগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে অতর্কিত হামলা চালায় সেনা পোশাক পরিহিত সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে সেখানে দুই যাত্রী নিহত ও আরও সাতজন আহত হন।
এরপর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে একটি মারুতি আলটো কার ছিনতাই করে দিনানগর থানায় হামলা চালায়। সেখানে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ে কর্তব্যরত দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে হত্যা করে। তারপর থানা ভবনে ভাঙচুর চালায়।
এ হামলার সঙ্গে সঙ্গে দিনানগর থানার কাছে পাঠানকোট-অমৃতসর রেললাইনে পাঁচটি পেতে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানা ভবনে আত্মগোপনে আছে। তবে সেখানে কোনো জিম্মি সংকট সৃষ্টি হয়নি। আত্মগোপনকারী সন্ত্রাসীদের ধরতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে অভিযানে নেমেছে কমান্ডো বাহিনী।
একাধারে বাস টার্মিনাল, থানায় হামলা ও একইসময়ে রেলের পাতে বোমা পেতে রাখার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে মনে করছে পাঞ্জাব পুলিশ। বিশেষত সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি করতেই রেললাইনে বোমা পাতা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হামলার পরপরই গুরুদাসপুর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বোমা পেতে রাখার আশঙ্কায় মহাসড়কের বাসগুলোতে তল্লাশির পাশাপাশি তল্লাশি চলছে রেললাইনেও।
এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসীদের বর্বরতা’ বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এ বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকেও বসেন স্বরাষ্ট্রসচিব। শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। অভিযান শেষ হওয়ার পর হামলার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দিনানগর থানার পাশেই পাঠানকোটে সেনাবাহিনীর অনেক স্থাপনা রয়েছে। পাঠানকোট পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
এইচএ/
** পাঞ্জাবে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৫