ঢাকা: বির্তক ওঠার পর থেকেই তার পদত্যাগ চেয়ে কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধীরা সরব। আন্দোলন শুরুর পর একবারই আত্মপক্ষ সমর্থন করে কথা বলেছিলেন তিনি।
ভারতীয় পার্লামেন্টের বর্ষা মৌসুমের অধিবেশন চলছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তিন প্রভাবশালী নেতার পদত্যাগের দাবিতে ও নিম্নকক্ষে (লোকসভায়) ২৫ সংসদ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে পার্লামেন্ট বয়কট অব্যাহত রেখেছে কংগ্রেস। তবে থেমে নেই সংসদ অধিবেশনও। সেই অধিবেশনেই বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সুষমা স্বরাজ।
এসময় তিনি জানান, ললিত মোদির জন্য নয়, তার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসার স্বার্থেই ব্রিটিশ সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিলেন।
লোকসভায় বক্তৃতাকালে সুষমা বলেন, ললিত মোদির স্ত্রী নিরপরাধ। সে রাষ্ট্রের কোনো আইন ভাঙ্গেনি। আমি সোনিয়া গান্ধীকে প্রশ্ন করতে চাই, আমার জায়গায় তিনি থাকলে এ পরিস্থিতিতে কি করতেন?
আইপিএল খলনায়ক ললিত মোদির বিরুদ্ধে গত বছর ভারতে বেশ কয়েকটি দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১০ সালে তিনি দেশ ত্যাগ করে লন্ডনে বসবাস শুরু করেন। খবরে প্রকাশ, ললিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে লন্ডন থেকে পর্তুগাল যাওয়ার অনুমতি দেয় ব্রিটিশ সরকার। আর এ অনুমতি মেলে সুষমা স্বরাজের সুপারিশের প্রেক্ষিতেই।
সুষমা তার বক্তব্যে বলেন, ললিতের স্ত্রীর চিকিৎসার স্বার্থেই ব্রিটিশ সরকারের কাছে আমি সুপারিশ করেছিলাম। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলাম, এই ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ললিতের স্ত্রীর ব্যাপারে তিনি বলেন, একজন কোটিপতির স্ত্রী হিসেবে নয়, তাকে একজন অসুস্থ ও নিরপরাধ নারী হিসেবে দেখা উচিত।
তবে সমালোচকরা বলছেন, সুপারিশের ব্যাপারে সুষমার বিস্তারিত প্রকাশ না করা কিংবা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসকে কিছু না জানানোটাই সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারও সংসদ বয়কট করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
আরএইচ
** সংসদে টালমাটাল বিজেপি