ঢাকা: স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসের কস দ্বীপে আশ্রয় নেয়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
খাদ্য, পানি, বাসস্থান ও টয়লেট সুবিধার অপ্রতুলতার পাশাপাশি কিছু কিছু দেশের নাগরিকরা অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
অবশ্য কর্তৃপক্ষের দাবি সকল জাতীয়তার অভিবাসন প্রত্যাশীদেরই কাগজ প্রক্রিয়াকরণ চলছে।
শনিবার কস দ্বীপের পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান থেকে আসা কয়েক ডজনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী। এ সময় তারা পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও বোতল নিক্ষেপ করেন।
কস দ্বীপ থেকে গ্রিসের মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য শনিবার ওই পুলিশ স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। তবে সরকারি ছুটির কারণে পুলিশ স্টেশনটি বন্ধ ছিলো।
এদিকে কস দ্বীপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন মেডিসিন সানস ফ্রন্টিয়ার। তবে এক সঙ্গে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী এসে পড়ায় চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা।
খাবার,পানি ও টয়লেট সুবিধার সঙ্কটের পাশাপাশি তীব্র গরমেরও মোকাবেলা করছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
তুরস্কের উপকূলরেখার খুব কাছেই অবস্থিত কস দ্বীপ। প্রতিদিনই তুরস্ক থেকে রাবারের ডিঙ্গি নৌকায় করে শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী ভীড় জমাচ্ছেন দ্বীপটিতে।
চলতি বছর এ পর্যন্ত আড়াই লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। এর অর্ধেকই এসে পৌঁছেছেন গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের এই চাপে নতুন করে সঙ্কটে পড়েছে অর্থনৈতিক সঙ্কটে আগে থেকেই ধুঁকতে থাকা গ্রিস। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরের বিশ্বের সাহায্য চেয়েছে এথেন্স।
এদিকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওই দ্বীপ থেকে গ্রিসের মূল ভূখণ্ডে নেয়ার জন্য গত শুক্রবার নৌযান পাঠিয়েছে গ্রিক সরকার।
এছাড়া সিরীয় অভিবাসীদের মূল ভূখণ্ডে নেয়ার জন্য বর্তমানে সেখানে অপেক্ষা করছে আরেকটি নৌযান।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীরা আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অভিবাসীদের থেকে অগ্রাধিকার পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
আরআই