ঢাকা: সোমবার (১৭ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ট্রাইগানা এয়ার সার্ভিসের নিখোঁজ যাত্রীবাহী প্লেনটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) টুইটারে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা (বাসারনাস)।
বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দৃষ্টিসীমার আওতা কমে আসায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হলো। আগামীকাল (সোমবার, ১৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ফের শুরু হবে এ অভিযান।
এর আগে রোববার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার কিছু আগে ট্রাইগানা এয়ারের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হয়। এতে ৫৪ জন আরোহী রয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন শিশু, ৪৯ জন যাত্রী এবং পাঁচ জন ক্রু।
যোগাযোগ হারানোর ঠিক আগ মুহূর্তে উড়োজাহাজটি দেশের পূর্ব-পূর্বাঞ্চলের দুর্গম প্রদেশ পাপুয়ার একটি পাহাড়ি এলাকায় উড়ছিল।
বাসারনাস-এর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পাপুয়ার রাজধানী জয়াপুরার সেন্তাই এয়ারপোর্ট থেকে সোয়া ২টার দিকে পার্শ্ববর্তী অকসিবিলের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে উড়োজাহাজটি। ৪৫ মিনিটেই সেটির গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ৩টার কিছু সময় আগেই ট্রাইগানা এয়ারের এটিআর ৪২ টারবোপ্রোপ উড়োজাহাজটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।
স্থানীয় পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেএ বারাতা উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেল ৩টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও উড়োজাহাজটির হদিস না মেলায় অনুসন্ধান চলছে।
তিনি বলেন, উড়োজাহাজটির ভাগ্যে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তবে, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির হদিস পেতে আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতা করছি।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এই মুহূর্তে পাপুয়ার আবহাওয়া খুব খারাপ। পাহাড়ি ওই অঞ্চলে ধোঁয়াটে এবং মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানোও সহজ নয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের কাছে ইন্দোনেশিয়ার বিমান পরিবহন খাতের রেকর্ড সন্তোষজনক নয়। গত ডিসেম্বরেই দেশটির সুরাবয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি উড়োজাহাজ জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ওই উড়োজাহাজের ১৬২ আরোহীই নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫/আপডেট ১৬১৪ ঘণ্টা/আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা/আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা
এইচএ/আরএইচ