ঢাকা: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি ব্রহ্মা মন্দিরের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ বিদেশিসহ অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৮ জন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) ব্যাংককের চিদলম জেলায় এরাওয়ান মন্দিরের কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
থাইল্যান্ডের ‘দ্য ন্যাশন টেলিভিশন’ জানিয়েছে, মন্দিরের সামনের সড়কে হতাহত মানুষের রক্ত-মাংস ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই চীন ও তাইওয়ানের নাগরিক।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানিয়ে ব্যাংকক পুলিশের মুখপাত্র ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল প্রাউত থাভোর্নসিরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটি একটি মোটরসাইকেল বোমা হামলা। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মন্দিরের আশেপাশে তিনটি শপিং মল ও একটি ফাইভ স্টার হোটেল রয়েছে। বিস্ফোরণ কেন্দ্রে কয়েকটি পোড়া মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।
থাই সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ভিরাচন সুখোন্ধাপাতিপক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে অন্তত দু’টো বোমা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অন্তত একটি বিস্ফোরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম বোমাটি মন্দির প্রঙ্গণের ভেতরে পাওয়া গেছে। দ্বিতীয়টি পাওয়া গেছে বাইরে।
‘চ্যানেল নিউজ এশিয়া’ নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মন্দিরের প্রাঙ্গণে ছাড়াও আরও দুই জায়গায় দু’টো অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি পাওয়া গেছে স্কাইট্রেন স্টেশনে। সবগুলো বোমাই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাওয়িত ওংসুয়োং বলেছেন, দেশের পর্যটন শিল্প ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পর্যটকদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। থাই কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে দায়ী করতে পারছে না কাউকে। তবে দেশটির দক্ষিণে চলমান স্থানীয় বিদ্রোহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রহ্মার এই মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্থান হলেও এখানে প্রতিদিনই সহস্রাধিক বৌদ্ধও আসেন। সেই সঙ্গে প্রসিদ্ধ এই মন্দিরে বিদেশি পর্যটকদেরও আগমন ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫/আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা/আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা
আরএইচ