ঢাকা: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে ব্রহ্মা মন্দিরে একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ২৭ জন নিহত হওয়ার পর আরো দুটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১২০ জন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) ব্যাঙ্ককের চিদলম জেলায় এরাওয়ান মন্দিরে এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রথম বোমাটি বিস্ফোরণের এক ঘণ্টা পর আরো একটি বোমার খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর সেটি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।
এই বোমাটি উদ্ধারের পর জাতীয় পুলিশ প্রধান প্রাউট থাউর্নসিরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা একটি বোমার খোঁজ পাওয়ার পর আরো দুই কি তিনটি বোমা পাওয়ার আশঙ্কা করছি।
তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, আরো বোমা বিস্ফোরিত হতে পারে। সে কারণে পাশে দাঁড়িয়ে যারা দেখছিলেন, তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেছি।
এদিকে, কর্তৃপক্ষ জানায়, হিন্দু ও বৌদ্ধদের পবিত্র এই মন্দিরের ভেতরে পাইপ বোমা বিস্ফোরিত হয়।
উপপুলিশ প্রধান এক অঙ্গসানন্দ বলেন, আমরা বলতে পারি যে, ব্যাঙ্ককের প্রাণকেন্দ্র বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে এবং এ জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে।
পুলিশ প্রধান বলেন, জেনেশুনে এই বোমাগুলো রাখা হয়েছিল। কারণ, সবাই জানেন সন্ধ্যার সময় এই মন্দিরে পূর্ণ্যাথী এবং বিদেশি পর্যটকেরা এই মন্দির দেখতে আসেন।
আলসেন্দ্রো আরসিক নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, বোমা হামলার পরে আমি এসেছি। তখন ঘটনাস্থল পরিস্কার করা হয়েছে। তারপরও আমি সেখানে মানুষের খণ্ডবিখণ্ড মাংসের টুকরা পড়ে থাকতে দেখেছি। সে এক বীভৎস দৃশ্য!
জেমস সেলস নামে বিবিসির এক প্রতিবেদক বলেন, আমি মন্দিরটা কোথায়, তা দেখার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এসে আমি শুধু মরদেহ আর মরদেহ দেখছি। আমি অন্তত নয়টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি এবং তারা চীনের পর্যটক বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে।
তিনি আরো জানান, নিহত এবং আহতদের বেশির ভাগই চীনের ও তাইওয়ানের পর্যটক ছিলেন।
এদিকে, ব্যাঙ্কক মেট্রোপলিটন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিরাপত্তার জন্য নগরীর ৪৩৮ বিদ্যালয় মঙ্গলবার বন্ধ ঘোষণা করেছে।
পুলিশ জানায়, দ্রুতই এ হামলার উদ্দেশ্যে উদঘাটন করা হবে। তারা একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করলেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। তবে কোনো গোষ্ঠীও এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
এবি
** ব্যাংককে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২৭