রোবট আজকাল ঘটিয়ে চলেছে নানা অত্যাশ্চর্য কাণ্ড। অবিকল মনুষ্য-আকৃতির রোবট অনেক আগেই এসে গেছে বাজারে।
রোবটের যান্ত্রিক মস্তিষ্কে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তার সুবাদে হালফিল আমলের রোবটগুলো সিদ্ধান্তও নিচ্ছে। কোনো কোনো রোবট কথাও বলছে (টকিং রোবট)। নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের জবাব পর্যন্ত দিচ্ছে। আর স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানীদের একাংশ আশংকা করছেন, রোবট ও যান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তা একদিন হয়ে উঠবে মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী। সে হয়তো অনেক দূরের পথ। তবে এ যুগেই কিছু কিছু রোবট মানুষের মতো অনুভূতিশীলতারও প্রমাণ দিচ্ছে।
তারই সর্বশেষ নজির মন-নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম রোবোটিক বাহু। এই বাহু কোনো বস্তুকে স্পর্শ করার অনুভূতি পৌঁছে দিচ্ছে ওই বাহু ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কে। অর্থাৎ রোবোটিক বাহুধারী প্যারালাইসিস আক্রান্ত ব্যক্তি ফিরে পাচ্ছেন স্পর্শের অনুভূতি। এ ব্যাপারটা একদমই নতুন। এই সফলতার খবর জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এক বিজ্ঞান সম্মেলনে। দেশটির ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (ড্যারপা) আয়োজন করেছিল এ-সম্মেলনের।
সম্মেলনে বলা হয়, মন-নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম রোবোটিক বাহু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিরাট সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। সবচে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, কৃত্রিম রোবোটিক বাহু এবার ব্যবহারকারীর মনের সংকেত ছাড়াই তার মস্তিষ্কে সরাসরি জাগিয়ে তুলছে স্পর্শের অনুভূতি। যা অচিরেই প্রাকৃতিক হাতের প্রায় সমতুল্য হয়ে উঠবার জোর সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে।
সম্মেলনে তারা আগেভাগে কিছু না জানিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এক রোগীর কৃত্রিম রোবোটিক বাহুর একটি আঙুল স্পর্শ করে তার প্রমাণও পেলেন। তিনি দিব্যি আঁচ করলেন যে তার আঙুল স্পর্শ করা হয়েছে। তিনি ভাবলেন গবেষক দল তার সঙ্গে বুঝিবা দুষ্টুমি করছে। সে দুষ্টুমি যে ভবিষ্যতের জন্য আশ্চর্য দুয়ার খুলে দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবার দেখা যাক যন্ত্রের এই স্পর্শের জাদু আরও কতদূর গড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
জেএম