ঢাকা: হাঁচি দিতে দিতে একেবারে ক্লান্ত। কখনো প্রতি মিনিটে ২০ বারও হাঁচি দিতে হয়।
হাঁচি দিতে দিতে এমনই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ১২ বছরের বালিকা ক্যাটেলিন থর্নলি। হাঁচির চোটে কোনো কাজই ঠিক মত করতে পারে না ক্যাটেলিন। খেতে অসুবিধা, পড়তে অসুবিধা, চলতে-ফিরতে অসুবিধা। এই হাঁচির জ্বালায় স্কুলে পর্যন্ত যেতে পারে না বালিকাটি।
মার্কিন কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবারের লোকজন বলছেন, তিন সপ্তাহ আগে শুরু হয় ক্যাটেলিনের হাঁচির যন্ত্রণা। হাঁচি অসহনীয় মাত্রা অতিক্রম করায় তাকে টেক্সাসের খ্যাতিমান ছয় ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ডাক্তাররাও বুঝতে পারেন না, কেন এমন হচ্ছে ক্যাটেলিনের।
টেক্সাস চিলড্রেন হসপিটালের বিশেষজ্ঞ ডা. মেরেড পারনেস বালিকার পরিবারকে বলেছেন, অ্যালার্জি কিংবা ভাইরাস সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নয়, কোনো মানসিক চাপ থেকে এমনটি হতে পারে। সুকিচিৎসায় সে স্বাভাবিক হতে পারে, যদি না মানসিক যন্ত্রণা আবার চেপে বসে।
পারনেসের মতো এমন অনেকেই আরও নানান ব্যাখ্যা দিচ্ছেন ক্যাটেলিনের হাঁচি নিয়ে।
কিন্তু সপ্তম গ্রেড পড়ুয়া বালিকাটি বলছে, ‘দিনের বেলা হাঁচি দিতে দিতে এমন অবস্থা হয় যে, ঘুমের মধ্যেও স্বপ্নে দেখি, আমি হাঁচি দিচ্ছি। তারা কী করছে, আমি জানতে চাই না। আমি হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এইচএ/