ঢাকা: ২০১৪ সালে ২৯৮ আরোহী নিয়ে ইউক্রেনে বিধ্বস্ত মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী প্লেন এমএইচ১৭’র ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলেছে ডাচ কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছিল, বাইরে থেকে উচ্চশক্তির কিছু একটা বিমানটিতে আঘাত হানায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেন এ দুর্ঘটনায় বরাবরই রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে আসছে। কিন্তু মস্কো এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দায় চাপিয়েছে ইউক্রেনের ঘাড়ে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ডাচ কর্তৃপক্ষের প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনে অবশ্য কাউকে দায়ী করা হবে না। শুধুমাত্র দুর্ঘটনার কারণটাই এখানে জানানো হবে। এদিকে, রাশিয়াও এ ব্যাপারে নিজস্ব একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলেছে।
এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই চারটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। এগুলো হলো, মধ্য আকাশে কি কারণে প্লেনটি ভেঙে পড়লো, কেন এটি সংঘাতপ্রবণ এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, কেন আরোহীদের পরিণতির খবরটি চারদিন পর নিশ্চিত করলো কর্তৃপক্ষ ও কি ঘটতে চলেছে, তা আরোহীরা কখন জানতে পারেন।
তবে ডাচ প্রতিবেদনে সরাসরি এসব প্রশ্নেরও উত্তর মিলবে না। বিধ্বস্তের ঘটনায় পৃথক একটি অপরাধ তদন্ত চালাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কয়েক মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। এতেই সবগুলো বা বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে মনে করছেন অনেকে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টার্ডাম থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে ইউক্রেনের সংঘাতপ্রবণ এলাকায় বিধ্বস্ত হয় এমএইচ১৭। এতে বোয়িং-৭৭৭-২০০ইআর সিরিজের এই প্লেনটিতে থাকা ২৯৮ জন আরোহীর সবারই মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১৯৩ জনই ছিলেন ডাচ নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
আরএইচ