আমেরিকানরা আসলেই চাঁদে গিয়েছিল কিনা এ নিয়ে বিতর্ক চলছে গত প্রায় দু’দশক ধরে। কেউ কেউ দাবি করছেন আমেরিকানরা আসলে চাঁদে যায়নি।
পুরোটাই সাজানো নাটক। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে রকেট পাঠানোয় আমেরিকানদের আঁতে ঘা লেগেছিল বলেই তারা আরও বড় সফলতা দেখাবার জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের এই নাটক করেছিল। আর সে নাটক তারা মঞ্চস্থ করেছিল নেভাদার মরুভূমিতে। নইলে আমেরিকানরা যে পতাকা (ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড) চাঁদের মাটিতে স্থাপন করেছিল, সেটা নড়তে দেখা গেল কেন? চাঁদের বাতাসহীন পরিবেশে তো তা নড়ার কথা নয়!
এবার এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে চায় মহাকাশে পাড়ি জমানো ও মহাকাশে প্রথম মনুষ্যবাহী যান প্রেরণকারী প্রথম দেশ রাশিয়া: ‘Russia to answer once and for all whether moon landing was faked’
রাশান বিজ্ঞানীরা এই বিতর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন সম্প্রতি। তারা চান না আর বিতর্কটা চলতে থাকুক। বিজ্ঞানের স্বার্থেই এর আশু অবসান জরুরি বলে মনে করেন তারা। বিলেতের একটি পত্রিকা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমেরিকানরা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের যে ফুটেছ এতদিন দুনিয়াবাসীকে দেখিয়ে এসেছে তা আপাতদৃষ্টে আসল বলেই মনে হয়। কিন্তু আসলে চন্দ্রপৃষ্ঠের পাথর হিসেবে যা দেখানো হয়েছে তা নাকি আসলে নেভাদার মরুভূমিতে বানানো একটা ফিল্মসেটের কার্ডবোর্ড মাত্র। এসবকিছুই আসলে বানিয়ে তোলা জিনিস।
বলা হচ্ছে, বাজ অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্সরা ১৯৬৯ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের নামে মরুভূমিতে যত্নে গড়া নিখুঁত ফিল্মসেটে পাকা অভিনেতার মতো অভিনয় করে গেছেন কেবল।
প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আমেরিকানরা সত্যিই যদি চাঁদে অবতরণ করেই থাকে তাহলে তো এর পক্ষে অকাট্য প্রমাণ থাকার কথা। কিন্তু তাতো নেই। আর রাশানরাও বলছে, চাঁদের পরিবেশ এমন নয় যে, চাঁদে মানুষের পায়ের ছাপ, পাথরের গায়ে মানুষের রেখে আসা চিহ্ন ইত্যাদি এভাবে দৃশ্যমান হবে। তো, দেখা যাক সত্যি সত্যিই আমেরিকানদের চন্দ্র অভিযানটা ভুয়া ছিল কিনা। সারা দুনিয়ার দৃষ্টি থাকুক রাশানদের দিকে। একমাত্র তারাই পারে সত্যটা বলতে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
জেএম