ঢাকা: উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্তে পিয়ংইয়ং বিরোধী প্রচরাণা শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) এ প্রচারণা শুরু হয়।
দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, কিম জং-উনের শাসন ও তার সরকারের পারমাণবিক পরীক্ষার সমালোচনা করে আমরা প্রচরাণা শুরু করেছি। এতে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার এমন পরীক্ষা দেশটির জনগণকে আরও অর্থনৈতিক সংকটের দিতে ঠেলে দিচ্ছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি পিয়ংইয়ং।
গত ০৪ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে সাতটা) ৫.১ মাত্রায় কেঁপে ওঠে উত্তর কোরিয়া। কিছু পরই কর্তৃপক্ষের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।
এ খবরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনসহ আন্তর্জাতিক মহলের কপালে ভাঁজ পড়ে। জাতিসংঘে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মন্ত্রীরাও তাৎক্ষণিক বৈঠকে বসেন। সেই সঙ্গে সীমান্তে তেজস্ক্রিয়তার পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেয় চীন।
এ ঘটনার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সীমান্তে পিয়ংইয়ং বিরোধী প্রচারণার ঘোষণা দেয় সিউল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিউলের এ পদক্ষেপ পিয়ংইয়ংকে আবারও ক্ষেপিয়ে তুলবে। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত আগস্টে সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সেনা গুরুতর আহত হলে প্রচারণা শুরু করে সিউল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ রাষ্ট্রে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পরবর্তী সময়ে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ‘যুদ্ধবিরতি গ্রাম’ পানমুনজমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে এ পরিস্থিতির অবসান ঘটে।
তার আগে ২০০৪ সালে এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর সীমান্তে এ ধরনের প্রচারণা বন্ধ করে কোরীয় উপদ্বীপের দুই দেশ।
তবে, ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রণতরী ডুবে গেলে উত্তর কোরিয়াকে অভিযুক্ত করে একবার সীমান্তে প্রচারণা চালানোর হুমকি দেয় সিউল। এ উদ্দেশ্যে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তে লাউডস্পিকারও বসানো হয়। কিন্তু এর বেশি সেবার কিছু ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
আরএইচ