ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্রাজিলের মারিয়া গোমেজ ভ্যালেনতিম ১১৫ তম জন্মদিনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে মারা গেছেন।
গিনেস বুকের বিশ্ব রেকর্ডধারী ১৮৯৬ সালে ব্রাজিলের দক্ষিণÑপূর্বাঞ্চলের কারানগোলা শহরে জন্ম নেন।
১৯১৩ সালে তিনি জোয়াও ভ্যালেনতিমকে বিয়ে করেন। ১৯৪৬ সালে জোয়াও মারা গেলে বাকি জীবন মারিয়া তার ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনিদের নিয়ে কাটিয়ে দেন।
এক ছেলে, ৪ নাতি-নাতনি, ৭ পুতি (নাতির সন্তান) এবং ৫ জন জুতি (নাতির নতির সন্তান) নিয়ে সুখের সংসার ছিল মারিয়ার।
মারিয়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জেরনটোলজি নামের একটি গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষজনের খোঁজ খবর রাখাই এদের কাজ।
এদিকে, মারিয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জর্জিয়ার মনরোতে বসবাসকারী ব্যাস কোপার বিশ্বের বেশি বয়সী মানুষের মর্যাদা ফিরে পেলেন।
গিনেস বুকের তথ্যানুযায়ী, কোপারের বয়স এখন ১১৪ বছর ২২৯ দিন এবং কোপারই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
গিনেস বুকের তথ্যানুসারে, বিশ্বে ১ শ’ ১০ ঊর্ধ্ব বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন প্রায় ৯০ জন। এদের মধ্যে মারিয়া ছিলেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্রাজিলের প্রথম ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, গিনেস বুকের তথ্য মতে, সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ ছিলেন ফ্রান্সের জেন লুইস কালমেন্ট। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১১