তাইওয়ান এবার একক চীনা পর্যটকদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধের পর মূল ভূখণ্ড চীনের পর্যটকদের ব্যাপারে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল করেছিল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিদ্রোহী দ্বীপরাষ্ট্রটি।
তবে ২০০৮ সালে সে নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হয়। তবে তা কেবল দলীয় পর্যটকদের বেলায়ই প্রযোজ্য হয়। কিন্তু একাকী কোনো চীনা পর্যটকের তাইওয়ান যাওয়ার সুযোগ ছিল না। এবার দীর্ঘ ৬ দশক পর উঠে গেল সেই নিষেধাজ্ঞাও।
তাইওয়ানি সংবাদসূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বুধবার জানিয়েছে এই খবর। অবশ্য প্রথম দফায় চীনের তিনটি বড় শহরের বাসিন্দারা পাবেন তাইওয়ান ভ্রমণের সুযোগ। শহর তিনটি হচ্ছে বেইজিং, সাংহাই ও শিয়ামেন। আগামী মঙ্গলবার থেকেই সে সুযোগ অবারিত হবে এই তিন চীনা শহরের ভ্রমণবিলাসীদের জন্য। তবে দিনে মাত্র ৫০০জন চীনা তাইওয়ানে ঢুকতে পারবেন। তারা প্রথমে কিনমেন, মাতসু ও পেংঘু--এই তিনটি দ্বীপে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
তাইওয়ানের উপানুষ্ঠানিক স্ট্রেইটস এক্সচেঞ্জ ফাউন্ডেশনের উপ মহাসচিব জেনারেল মা শাও চাং তাদের সর্বসাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলেছেন, ‘চীনা পর্যটকেরা হবেন শান্তির দূত। ’
আর একক পর্যটকদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে মা চাং যুক্তি দিয়ে বলেন. ‘একক পর্যটকেরা তাইওয়ানকে বুঝতে গভীরভাবে সহায়ক হবেন। মূল ভূখণ্ডে ফিরে গিয়ে তারা তাদের আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে তাইওয়ান ভ্রমনের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করবেন। এভাবেই মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাইওয়ানবাসীর বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্য গড়ে উঠবে। আর তাতে করে দুটি অংশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ সুগম হবে। ’
আর হ্যাঁ, নতুন এই ব্যবস্থাটির ব্যাপারে তাইওয়ানিদের মধ্যে রীতিমতো একটা জনমত জরিপও হয়ে গেছে। টিভিবিএস পরিচালিত এই জরিপটি চালানো হয় ১হাজার ৪৭৯ জনের মধ্যে। এদের ৫৬ শতাংশই সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১১