ঢাকা: লিবিয়ার গুরুত্বপুর্ণ ঘটনার সংবাদ চেপে যাচ্ছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। সম্প্রতি একজন সাংবাদিক ত্রিপোলি ঘুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।
একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সাংবাদিক লিজি ফেলান বলেন, গত শুক্রবার ত্রিপোলিতে কর্নেল গাদ্দাফির সমর্থনে প্রায় ১০ লাখ লোক রাস্তায় নেমে আসে। অথচ খবরটি পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো প্রকাশ করেনি।
লিজি ফেলান বলেন, লিবিয়ার মোট জনসংখ্যা ৬০ লাখ। এর মধ্যে ১০ লাখ লোকই রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা বিপ্লব-বিরোধী ইসলামন্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তাদের অভিযোগ, ওই ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদেরই সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটো। লিজি বলেন, লিবিয়ার সাধারণ নাগরিকরা বিদ্রোহীদের ঘৃণা করে।
কিছুদিন আগে লিবিয়ার বেসামরিক লোক হত্যার ঘটনায় ন্যাটোর ক্ষমতা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ন্যাটোর এই ক্ষমা চাওয়া অতিশয় ঠাট্টার শামিল। গত তিন মাসে তারা এই প্রথম ক্ষমা চাইল। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ন্যাটোর অস্ত্রের মুখে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। গত তিন মাসে তারা দেশটির ওপর হাজার হাজার হামলা চালিয়েছে। আর মাত্র গত রোববার তারা ক্ষমা চেয়ে। ’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার পরও তারা হামলা চালিয়েছে, এতে ১৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়। ’ এছাড়া আরও তিনটি শিশু নিহত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
লিজি ফেলান বলেন, ‘এর আগে কয়েক সপ্তাহে আমরা দেখেছি, ন্যাটো দিনেদুপুরে আল-নসর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। সেখানে বেসামিরক লোক নিহত হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, বাজারে, রাস্তায় বোমা হামলা চালিয়েছে। আমি যেখানে ছিলাম সেখানে ন্যাটো বাহিনী ডাকঘরে হামলা দিয়ে শুরু করে, প্রাথমিক স্কুলে তা শেষ করে। এছাড়া চারটি ভবনে হামলা করতে দেখেছি, এখানে নয়জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এরমধ্যে চার মাস বয়সী শিশুও রয়েছে। ’
তিনি অবর্ণনীয় নৃশংসতা দেখেছেন বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। তিনি গাদ্দফির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জেনেছি, লিবিয়ার ৯০ শতাংশ আদিবাসী গাদ্দাফিকে সমর্থন করে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১১