ভুবনেশ্বর: ভারতের উড়িষ্যার পুরী জেলার একটি কালী মন্দিরে প্রবেশের অপরাধে স্থানীয় হরিজনদের (নিম্নবর্ণের হিন্দু) একঘরে করার বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
মন্দিরে হরিজনদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশ পায় শুক্রবার।
নিম্নবর্ণের হিন্দুদের জাতীয় কমিশনের (এনসিএসসি) চেয়ারম্যান লা পুনিয়া শুক্রবারই ঘটনাস্থল ব্রহ্মগিরি অঞ্চলের রামানন্দ গ্রামের সেই মন্দির পরিদর্শন করেন। আর এর একদিন পরই সমস্যাটি সমাধানের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুনিয়া শুক্রবার কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ ওই মন্দির পরিদর্শন করতে যান। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছার আগেই মন্দিরটি বন্ধ করা হয়। আর মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই সাইনবোর্ডটিও সরিয়ে ফেলে।
পুনিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সেকেলে এই অস্পৃশ্যতার অনুশীলন এক ধরনের বৈষম্য। বিষয়টিকে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হরিজনরা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দ্বারা একঘরে হয়ে রয়েছে। ’
কমিশন জানায়, তারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য সরকারকে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগস্টে স্থানীয় দলিত সম্প্রদায়ের তিনজন কিশোরী কালি দেবীর প্রসাদ নিতে মন্দিরে প্রবেশ করে। আর এই অপরাধে দলিতেদের এক ঘরে করে রেখেছে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা। এমনকি গরীব দলিতদের কাছ থেকে বর্গাচাষের জমিটুকুও ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১১