ঢাকা: শটগানের দেড়শটি গুলি শরীরে বিদ্ধ হলেও মরেননি তিনি। এতোগুলো গুলি নিয়ে গত চার বছর ধরে বহাল তবিয়তে আছেন।
এই কঠিনপ্রাণ লোকটির নাম জ্যো ক্লার্ক (৩৩)। ইংল্যান্ডের ডুরহাম কাউন্টির কনসেট শহরের অধিবাসী তিনি।
ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে। শটগানধারী দুই ব্যক্তি তার বাসার সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা আকস্মাৎ গুলি করতে থাকে। এসময় তার পিঠে, মাথায় ও ঘাড়ে প্রায় দেড়শটি সিসা বা ইস্পাতের গুলি বিদ্ধ হয়।
এ অবস্থাতেই তিনি পালিয়ে গিয়ে এক প্রতিবেশির সহায়তায় হাসপাতালে যান। তবে শরীরের ভেতরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে গুলি প্রবেশ করায় তা বের করা সম্ভব হয়নি।
চিকিৎসকরা জানান, ‘শরীরের ভেতরে এতোগুলো গুলি থেকে যাওয়ার কারণে ক্লার্ককে ভুগতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক আয়ুর ২৫ বছর আগেরই মারা যাওয়ার দুঃসংবাদও শুনিয়ে দেন তারা।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘আমি সব কিছু হারিয়েছি। এতোগুলো গুলি শরীরের ভেতরে বহন করে চলছি যা আমার জীবনের ২৫টি বছর কেড়ে নিয়েছে। ’
সারা দেহে সবসময় ব্যথা অনুভূত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমিই একমাত্র মানুষ যাকে সারা জীবন এমন যন্ত্রণার মধ্যে বেচেঁ থাকতে হবে। ’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি কোনো বিচার পাইনি। ’
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে আসামিরা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ডুরহামের পুলিশ এই মামলা এখন অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের স্বাধীন অভিযোগ কমিশনের হাতে ন্যস্ত করেছে।
ক্লার্ক বলছেন, তিনি এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য আর কোনো কিছুতেই ন্যায় বিচার হতে পারে না। ঘটনার পরে তার জীবন যেনো নরকে পরিণত হয়েছে।
সামান্য বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় সাবেক প্রমিকা তাকে হত্যার জন্য পাঁচ দুর্বৃত্তকে ভাড়া করেছিল বলে অভিযোগ করেন জ্যো ক্লার্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘন্টা, জুন ২৬, ২০১১