হনলুলু: দক্ষিণ চীন সাগরে চলমান উত্তেজনা নিরসনে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিন দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হনলুলুতে এক আলোচনা সভায় বসে।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারী সচিব ক্রুট ক্রাম্বেল বলেন, ‘চীনের কাছে এটাই পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হযেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রধানতম বিষয় হলো স্বাধীনভাবে নৌচলাচল। আমরা চলমান উত্তেজনার প্রশমন এবং বিরাজমান অবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। ’
ক্যাম্বেল আরও বলেন, ‘চীনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে তার সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে না।
তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চলমান উত্তেজনায় বাতাস দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নেই। বরং এই অঞ্চলে শান্তি স্থায়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রেরই লাভ।
কিন্তু চীনের সহ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী কুই তিয়ানকাই সতর্কবানী উচ্চারণ করে বলেন, ‘দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ঘটনাকে শুধু জটিল করতে পারে। কিছু দেশ আগুন নিয়ে খেলছে। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র সেই আগুনে পুড়েবে না। ’
কুই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অন্যদের প্ররোচিত করার চেষ্টা সীমিত করা।
ক্যাম্বেল বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া এবং মিয়ানমার ইস্যুতেও কথা বলবে। এই বিস্ফোরন্মুুখ দেশ দুটির অন্যতম সহায়তাদানকারী ধরা হয় চীনকে। ’
সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েতনামের সমুদ্রসীমায় চীনা জাহাজ তেল অনুসন্ধান করার সময় অন্য একটি অনুসন্ধান তার ছিঁড়ে ফেলার পর থেকেই ভিয়েতনাম সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১১