নয়াদিল্লি: বাবা- মায়ের ছেলে সন্তানের প্রতি অধিক আগ্রহের কারণে ভারতে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে যুবতী মেয়েদের লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলেতে রূপান্তর করা হচ্ছে। টেলিগ্রাফ এ খবর জানিয়েছে।
শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে ৩০০ মেয়েকে বালকে রূপান্তরের জন্য দেশটির ইনদোর এবং মধ্যপ্রদেশের চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এরকমের প্রতিটি অপারেশনের জন্য তারা নিচ্ছেন তিন হাজার ২০০ ডলার করে।
ইন্দোরে ভারতের শিশু একাডেমির প্রধান ড. ভিপি গোস্বামী বলেন, কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপিত যৌনাঙ্গ (জেনেটোপ্লাস্টি) শিশুদের চরিত্রে সামাজিক এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, প্রতিস্থাপিত যৌনাঙ্গ হরমোন উৎপাদন করতে পারেনা ফলে তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা জন্মায় না।
ভারতে এরই মধ্যে লিঙ্গগত অসমতা দেখা গিয়েছে। দেশটিতে ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশুর তুলনায় ছেলে শিশুর সংখ্যা ৭০ লাখের ও বেশি। দেশটির শিশু এবং নারী অধিকারের পক্ষে প্রচার চালানো কর্মীরা এই ধরণের অপচেষ্টাকে সমাজের ‘মানসিক সমস্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
নারী হত্যার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো দেশটির শীর্র্ষস্থানীয় নেত্রী রঞ্জনা কুমারী বলেন, ‘তুমি যতো শিক্ষিত এবং ধনী হও কন্যা হত্যার হার বেড়ে যাচ্ছে। লোকজন মেয়েদেরকে তাদের সম্পত্তির ভাগ দিতে চায় না। মেয়েদের শিক্ষার পেছনে বিনিয়োগ করতে চায় না। তারা যৌতুক দিতে চায়। এ থেকে এটাই প্রমাণিতহয় যে, মধ্যবিত্তরা টাকার পেছনে দৌড়াচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়; ২০৪৬ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১১