প্যারিস: লিবিয়ার নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশটির বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ফ্রান্স। রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণাংশে বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে অস্ত্র ফেলা হচ্ছে বলে বুধবার ফ্রান্সের দৈনিক পত্রিকা লা ফিগারো জানায়।
পত্রিকায় দেওয়া তথ্য মতে, ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থা গোপনে বিমানযোগে ত্রিপোলির চারপাশে বিদ্রোহীদের সাহায্য করার জন্য অস্ত্র ফেলছে। বিদ্রোহীরা যাতে রাজধানী ত্রিপোলির ভেতর ঢুকে গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ত্বরাণি¦ত করতে পারে সেজন্যেই বিদ্রোহীদের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স।
বিদ্রোহীরা যদি রাজধানী ত্রিপোলির সীমানায় ঢুকতে পারে তাহলে ত্রিপোলির জনগণও গাদ্দাফির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে বলে বলেও ওই প্রতিবেদনে একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মত প্রকাশ করা হয়।
অবশ্য ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ওই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি আবার প্রত্যাখ্যানও করা হয়নি।
লা ফিগারো জানায়, ফ্রান্সের অস্ত্রবাহী বিমানগুলো লিবিয়ার দেজেবেল নাফুজা অঞ্চলে প্যারাসুটের মাধ্যমে অস্ত্র নামাচ্ছে। যেখানে দেশটির বারবার উপজাতিরা গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
প্যারাসুট থেকে ফেলা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, অ্যাসল্ট রাইফেল, মেশিনগান এবং রকেট চালিত গ্রেনেড। এছাড়াও আছে ইউরোপে তৈরি মিলান ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
নতুন এই অস্ত্র সংযোজনের ফলে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফি বাহিনীর ট্যাংক অথবা সেনাবাংকার খুব সহজেই ধ্বংস করে দিতে পারবে।
গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন সংগ্রহে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে ফ্রান্স সরকার। ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের জেট বিমানও ন্যাটো বাহিনীর তত্ত্বাবধানে লিবিয়া অভিযানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদ্রোহী সেনারা লিবিয়ার পূর্বের শহর বেনগাজিকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সেখান থেকে পশ্চিমের শহরগুলো এবং মিসরাতাতে গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। কিন্তু পাহাড় অতিক্রম করে রাজধানীর দিকে তারা এগুতে পারছেনা।
বাংলাদেশ সময়: ২৯২৪ ঘণ্টা, ২৯ জুন, ২০১১