এথেন্স: দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত দেশ গ্রিসের ব্যয় সংকোচন নীতির ওপর ভোট হওয়ার আগে বুধবার ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ সহায়তা দানকারীদের শর্ত অনুযায়ী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কৃচ্ছতার নীতিতে অনুষ্ঠিতব্য ভোটাভুটির আগে পার্লামেন্টের সামনে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করে। দশ সহ¯্রাধক মানুষ গ্রিসের পতাকা হাতে, ড্রাম পিটিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পার্লামেন্টের সামনে সিনট্যাগ স্কয়ারে দুই দিনের ধর্মঘটের ডাকে গত মঙ্গরাবার থেকে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান করছে। এতে করে রাজধানী এথেন্সের কেন্দ্রস্থল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
ব্যয় সংকোচন, কর বৃদ্ধি এবং ব্যাপক ভিত্তিক বেসরকারিকরণ নীতিতে বুধবার বিকেলে পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ইইউ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএসএফ) দেওয়া শর্ত অনুযায়ী গ্রিসকে এটা করতে হচ্ছে। এ শর্তে একমত হতে ব্যর্থ হলে গ্রিস দেউলিয়া হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বহন করা একটি পতাকায় ‘পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দাও’ বাক্যটি লেখা ছিল। বুধবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করে তারা সহিংস হয়ে উঠে। এসময় তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও আগুনের বোমা নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকারীরা এসময় আবার পুলিশদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।
এদিকে পার্লামেন্টের ভেতরে প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদেরো তার এ উদ্যোগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন বলে আশা করছেন। আর এতে সফল হলে ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের একটি প্যাকেজ অনুমোদিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে সোসালিস্ট পার্টির কয়েকজন বিদ্রোহী নেতাও এ উদ্যোগ সমর্থনের কথা বলেছেন।
তবে একাধিক সমাজতন্ত্রী দল বুধবার সকালে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ র্যালি করেছে।
এদিকে গ্রিসের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জর্জ প্রোভপলিস সতর্ক করেছেন, এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে ‘না’ ভোট গ্রিসের আত্মহত্যার শামিল।
তিনি বলেন, এই প্যাকেজের বিরুদ্ধে সংসদের না ভোট দেওয়ার অর্থ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ। এর মানে দেশের আত্মহত্যার পক্ষে ভোট দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১১