দোহা: পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের হাতে আটক ওসামা বিন লাদেনের পরিবারকে ফিরে পেতে জাতিসংঘের শরণাপন্ন হয়েছেন ছেলে ওমর বিন লাদেন।
গত ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনী নেভি সিলের অভিযানে বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ছোট স্ত্রীসহ তার পরিবার এখন পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে।
ওমর বিন লাদেন একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের নেতাদের কাছে বার্তা পাঠাতে চাই, তাদের উচিত বিন লাদেনের সন্তানরা যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে চাইলে তাদের সাহায্য করা। পাকিস্তান সরকারের উচিত তাদের নিরাপত্তা দেওয়া। কারণ, তারা নিরীহ নারী ও শিশু। ’
ওমর বিন লাদেন অনেক আগেই পিতার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। বর্তমানে তিনি কাতারের রাজধানীতে বসবাস করছেন। সেখানে কাতার বিন লাদেন গ্রুপ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানি খুলে বসেছেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে হামলার পর থেকেই বিন লাদেন গণহারে মানুষ হত্যার দায়ে পলাতক ছিলেন।
বিন লাদেন সর্বশেষ আশ্রয় নিয়েছিলেন ইসলামাবাদের উত্তরে অ্যাবোটাবাদে এক তিনতলা কম্পাউন্ডে। সেখানে তিন স্ত্রী এবং কয়েকজন সন্তানের সঙ্গে তিনি বসবাস করতেন। তার স্ত্রীদের মধ্যে একজন আমল আহমেদ আবদুল ফাত্তাহ।
মার্কিন বাহিনীর অভিযানের পর পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ওই বাড়ির ১৫ অথবা ১৬ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। ধারণা করা হয় বিন লাদেনের চার স্ত্রীর সন্তান সংখ্যা মোট ২০ জন।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে অভিযান পরিচালনার আগে পর্যন্ত ওমর জানতেন না তার বাবা পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন।
বাবার নিহত হওয়ার ছবি প্রকাশে না করায় সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা তার দেহ নাই দেখতে পারি তাহলে কীভাবে বিশ্বাস করবো তিনি মারা গেছেন?’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, ৩০ জুন, ২০১১