নয়াদিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, সামরিক শক্তিতে ও সরঞ্জামে তার দেশের চেয়ে চীন অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে ভারত তার সীমিত সম্পদের মধ্যেই চীনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বুধবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি পত্রিকা ও বার্তা সংস্থার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সামরিক প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান নয় চীনই ভারতের প্রধান হুমকি বলে এর আগে জানিয়েছিল ভারত। এ লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তিন বাহিনীর উন্নয়নে ১৫ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২০১২ সাল থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হবে।
সম্পাদকদের মনমোহন বলেন, ‘চীন আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তারা মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে চৌকস নৌবহিনী গঠন করছে। বিমানবাহী নৌযানও তারা নির্মাণ করছে। ’
চীনের সামরিক সামর্থ্য বৃদ্ধির আলোকে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি কেমন এ প্রশ্নের জবাবে মনমোহন বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। সশস্ত্র বাহিনীসহ আমাদের নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলছে। বহু বছরের মধ্যে এবারই প্রথম আমাদের সামরিক বাহিনীতে দুটি ডিভিশন যুক্ত করা হয়েছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘সীমিত সামর্থের মধ্যে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় বিমান বাহিনীতে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। এখানে গ্রাম এলাকার অধিবাসীরা সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ’
তবে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপি’র শতাংশে প্রতি বছরই কমিয়ে আসছে বলে স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য। কিন্তু আমরা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কখনো বাধাগ্রস্ত করিনি। ব্যয় নির্বাহ সুনির্দিষ্ট করতে সচেতনভাবে কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি। ’
একটা জাতি হিসেবে ভারতীয়রা প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপি’র ৩ শতাংশ ব্যয় করতে প্রস্তুত রয়েছে। যদি সশস্ত্রবাহিনী এই অনুপাতের মধ্যে তাদের ব্যয় বাড়াতে চায় তাহলে তা সহনশীলতার মধ্যে থাকবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১১