ঢাকা: থাইল্যান্ডের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে বিরোধী দল। নির্বাসিত ও ক্ষমতাচ্যুত থাকসিন সিনাওয়াত্রার দলই আবার দেশটির ক্ষমতায় আসছে।
থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
জয়ের পর তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এখনো অনেক পথ পারি দেওয়ার রয়েছে।
২০০৬ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
বিবিসির সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মোট ৫০০ আসনের মধ্যে ইংলাকের পিউ থাই পার্টি পেয়েছে ২৬৪টি আসন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন অভিসিৎ ভেজ্জাজিভার দল পেয়েছে ১৬০টি আসন।
এরপরপরই টেলিভিশন ভাসনে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ বলেন, এ পযর্ন্ত পাওয়া তথ্যে পিউ থাই পার্টি জিতে গেছে এবং ডেমোক্র্যাট পার্টি তাদের পরাজয় মেনে নিয়েছে।
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিস ইংলাককে দেখতে চাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দেশের ভেতরে ঐক্য ফিরে আসুক সেটাই চাই। ডেমোক্র্যাটরা বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালনে প্রস্তুত।
তবে মিস ইংলাক যথেষ্টই সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি অভিজিতকে ধন্যবাদ জানান তবে বলেন, আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে চাই আমি।
তিনি বলেন, আমি এটা বলবো না আমার বা পিউ পার্টির জয় হয়েছে। আমি বলতে দেশের জনগণ আমাকে একটি সুযোগ দিয়েছে এবং আমি আমার সাধ্যের পুরোটা দিয়েই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাবো।
নির্বাচনে যে সব প্রতিশ্রুতি ও নীতির কথা বলেছি তার সবগুলোর সঠিক প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনে আমাদের কঠোর পরিশ্র্রম করতে হবে।
এর আগেই প্রাক জরিপে পিউ পার্টির এগিয়ে থাকার খবরে থাকসিন সিনাওয়াত্রা টেলিফোন করে শুভেচ্ছা জানান ইংলাককে।
দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনস্থল থেকে থাইল্যান্ডের একটি টেলিভিশনকে থাকসিন বলেছেন, ‘আশাকরি সব দলই নির্বাচনের ফল মেনে নেবে, তা না হলে আমাদের দেশে শান্তি স্থাপন অসম্ভব হয়ে উঠবে। ’
ইংলাক বলেন, সিনাওয়াত্রার সঙ্গে আমার এরই মধ্যে কথা হয়েছে তিনি আমাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, উৎসাহ যুগিয়েছেন এবং বলেছেন, এখনো অনেক পথ পারি দেওয়ার বাকি রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১১