লন্ডন: অভিবাসীদের পরিবারকে ব্রিটেনে আসতে দেওয়ার অনুমতি সংক্রান্ত একটি আইন যুক্তরাজ্য পর্যালোচনা করে দেখছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় রোববার এ কথা জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার কমিশন এই আবেদনটি করেছে। আবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা যেনো তাদের পরিবারকেও ব্রিটেনে নিয়ে আসার অনুমতি পান।
পর্যালোচনায় মানবাধিকার বিষয়ে ইউরোপীয় বিধির অনুচ্ছেদ-৮ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই অনুচ্ছেদে পারিবারিক জীবনের অধিকার নিশ্চিতকরণের বিধান লিপিবদ্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মতামত জরিপে ভোটারদের উদ্বেগের ভিত্তিতে গত দশক থেকে অভিবাসনের বিষয়টি এখন ব্রিটেনে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার একটি পত্রিকায় বুরুনডির নাগরিক মুসাবির ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। বৈধ কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়ার পরও তিনি অনুচ্ছেদ-৮ এর ভিত্তিতে তিন সন্তানকে দেশ থেকে ফিরিয়ে এনে ব্রিটেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের অনুমতি পেয়েছেন। সাধারণ আইনে তার অভিবাবন বৈধ নয়।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, এই ঘটনা কোনো উদাহরণ তৈরি করেছে এমনটি তারা বিশ্বাস করেন না। ঠিক একই ধরনের আরেকটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘অনুচ্ছেদ-৮ ব্রিটেনে অবস্থানের ব্যাপারে শর্তহীন অধিকার দেয় না। যারা আইন ভঙ্গ করেন এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন না আমরা তাদের দেশ থেকে বের করে দিবই। ’
তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সূত্র নিয়ে আমরা আলোচনা করছি এবং যারা যুক্তরাজ্যে পরিবার নিয়ে থাকতে চান তাদের ব্যাপারে বিদেশী জাতীয়তার শর্তে কী কী বিষয় যুক্ত করা যায় তা ভেবে দেখা হচ্ছে। অভিবাসন প্রক্রিয়াটির সুবন্দোবস্ত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ’
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে মে মাসে ডেভিড ক্যামেরনের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীতার মামলাগুলোর সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ব্রিটেনে অভিবাসীদের সংখ্যা লাখে উন্নীত করা নয় বরং দশ হাজারে নামিয়ে আনার কথা বলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১১