নাইপিদো: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেশব্যাপী সফর শুরু করেছেন। সোমবার এ উদ্দেশ্যে তিনি ইয়াঙ্গুন ত্যাগ করেন।
সফরের শুরুতে সুচি প্রাচীন মন্দিরের শহর বাগান যাচ্ছেন। ছেলে কিম এরিসও তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন। অবশ্য এরিস এ সফরকে ছুটি কাটানো বলেই বর্ণনা করছেন।
কোনো শর্ত ছাড়া মুক্তি পেলেও সুচি বাস্তবে স্বাধীনভাবে কোথাও ভ্রমণে করতে পারেন না। দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার সুচিকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে, সমর্থকদের নিয়ে যদি তিনি শোভাযাত্রা করার চেষ্টা করেন তাহলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থির সৃষ্টি হতে পারে। নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাকে এমন কর্মকা- পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
এই সফরে সুচি তার বাবা মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা অং সানের স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থানেও যাবেন। এরিস বলেন, তার এবং মায়ের জন্য এই সফর খুবই দরকারী ছিল।
এদিকে, সুচির রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তারা নেত্রীর এ সফরে দলের কর্মীদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলেছে। কারণ ২০০৩ সালে ইয়াঙ্গুনের বাইরে সুচির সর্বশেষ সফরে এক চোরাগোপ্তা হামলায় একজন সফরসঙ্গী নিহত হয়েছিলেন।
এসময় সুচি মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল সফর করছিলেন। তৎকালীন জেনারেলদের অনুগত কিছু দুর্বৃত্ত তার গাড়িবহরে হামলা করে। তবে তিনি বেঁচে যান। এর পরই তাকে গৃহবন্দি করা হয়।
সুচির দল ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্রেসি তার সফর সম্পর্কে সার্বক্ষণিক হালনাগাদ তথ্য সরকারের কাছে দিচ্ছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের একজন দ্বিতীয় শীর্ষ কূটনীতিক কাইউ উইন সেনা সমর্থিত সরকারের পক্ষ ত্যাগ করেছেন।
গত সপ্তাহে সুচিকে নিয়ে বানানো একটি সিনেমায় তার চরিত্রে রূপদানকারী এক হলিউড অভিনেত্রীকে কালো তালিকাভুক্ত করে দেশটির সরকার। এমনকি মিয়ানমারে সফরে আসলে তাকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪,২০১১