হেগ: বিচারকের কাজে বাধা দান ও উদ্ধত আচরণ করার কারণে সাবেক সার্ব জেনারেল রাতকো ম্লাদিচকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদলত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
১৯৯২-৯৫ সালে বসনিয়ার কুখ্যাত সেব্রেনিৎসা হত্যাকা-ের মূল হোতা ম্লাদিচের বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে বিচার চলছে।
অপরাধী নয় মর্মে আদালতের কাছে আবেদন করার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করলে ম্লাদিচের পক্ষে আদালত থেকেই তা করা হয়।
শুনানির শুরু থেকেই তিনি বারবার কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিচারক অ্যালফোনস অরি অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত চুপ থাকতে নির্দেশ দেন। বারবার কথা বলা এবং গ্যালরিতে বসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিচারক তাকে তিরষ্কার করেন।
দেরীতে আবেদন করায় আদালত থেকে আইনজীবী নিয়োগ না করায় তাকে নিজের পছন্দ মতো আইনজীবী নিয়োগ করতে বলা হয়। কিন্তু ম্লাদিচ তাও প্রত্যাখ্যান করেন।
বিচারক অরি যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শুনান তখন তিনি না, না বলে চিৎকার করতে থাকেন। কান থেকে অনুবাদের হেডফোন সরিয়ে তিনি বলেন, নিজের আইনজীবী ছাড়া তিনি এসব শুনতে চান না।
এসময় আদালতের রক্ষী এসে তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি বিচারকের উদ্দেশে চিৎকার করে বলেন, ‘আপনি আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয় চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। আপনি কেমন ধরনের বিচারক?’
আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর বিচারক ম্লাদিচের বিরুদ্ধে খুন ও গণহত্যাসহ ১১টি অভিযোগে পড়ে শুনান।
এর আগে রাতকো ম্লাদিচ খুব উদ্ধত ভঙ্গিতে আদালতে হেঁটে প্রবেশ করেন। এমনকি বিচারকের সামনে তিনি মাথার টুপি খোলেননি। বিচারকের নিষেধ অমান্য করে বৃদ্ধাঙ্গুল উঁচিয়ে গ্যালারিতে বসা দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
এ সময় গ্যালারিত বসা সেব্রেনিৎসা ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মানুষেরা এবং নিহতদের মায়েরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘সে মুলমানদের হত্যা করেছে। তাকে অবশ্যই ক্ষমা ভিক্ষা চাইতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১১