প্যারাগুয়ে: মরা মানুষের খুলিকে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করেছে চেক রিপাবলিকের পুলিশ। খুন হওয়া বেওয়ারিস এক ব্যাক্তির মাথার খুলি তিন বছর ধরে শোভা বর্ধন করে আসছে দেশটির ভোলারি অঞ্চলের পুলিশ স্টেশনের।
তিন বছর আগে ওই মানুষটির কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল। কিভাবে ওই মানুষটি মারা গিয়েছিল তা আর জানা সম্ভব হয়নি বলে খুনের তদন্তটি তখন বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি ফ্রান্সিস ভানদাস নামে সনাক্তহীন এই কঙ্কালের পরিচয় পাওয়া গেছে। নতুন কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে তার খুলি স্ক্যান করে চেক পুলিশ তার পরিচয় সনাক্ত করেছে।
কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পরিস্কার চকচকে এই খুলিটি কাজে লেগে গেছে চেক পুলিশের। খুলিটি চেক রিপাবলিকের ভোলারি অঞ্চলের পুলিশ স্টেশনে পুলিশের টুপি রাখার স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এমনকি তারা এই খুলিটির অনেক ছবিও তুলেছে যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতেও দেয়া হয়েছে। যদিও খুলিটি এখন ওই মৃত ব্যাক্তির পরিবারের বৈধ সম্পত্তি।
মৃত ব্যাক্তিটির আত্মীয় ৫৯ বছর বয়সী রুজেনা ব্রেজনানোভা বলেন, ‘যখন আমি খুলিটি সংগ্রহের জন্য পুলিশ স্টেশনে গেলাম। গিয়ে দেখলাম খুলিটি শেলফের ওপর একটি বিয়ারের মগের পাশে আছে এবং খুলিটির উপরে একটি পুলিশের টুপি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই বেদনাদায়ক ছিল। পুলিশ প্রধান আমাকে তার অফিসে নিয়ে গিয়ে মাথার টুপি খুলে আমার হাতে খুলিটি হস্তান্তর করলো। পুলিশ প্রধান আমার হাতে খুলিটি দিয়ে বললো, এই যে আপনার ভগ্নিপতি। আমি খুবই মর্মাহত। ’
‘আমি এর ব্যাখ্যা চাই। কেউই একজন মৃত ব্যাক্তির খুলি এভাবে ব্যবহার করতে পারে না। মৃত শরীরের কি কোনো সন্মান নেই বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃত ব্যাক্তির আত্মীয়া।
যখন মৃত ব্যাক্তির ওই আত্মীয়া স্থানীয় গণমাধ্যমে ওই বিষয়ে অভিযোগ করলেন তখন দেখা গেলো যে, ওই খুলিটির ছবি বিভিন্ন সামজিক গণমাধ্যম সাইটগুলোতেও ছাপা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র রাদেক সানদোরভা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি এবং যদি এটা প্রমান হয় তাহলে ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে আইনভঙ্গ করার দায়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
এদিকে পুলিশ প্রধান থমাস তেসারকা এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, ০৬ জুলাই, ২০১১