ব্যাংকক: থাইল্যান্ডের নতুন সরকারের থাকসিনের দায়িত্ব পাওয়ার সব সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন তার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
রোববার সাধারণ নির্বাচনের পুয়ে থাই পার্টির বিপুল বিজয়ের পর থাইল্যান্ডের পরবর্তী সরকারে থাকসিন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে যাচ্ছেন এমন জল্পনা-কল্পনা চলছিল।
২০০৬ সালে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। বর্তমানে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন।
সম্প্রতি সাধারণ নির্বাচনে তারই ছোট বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বে তারই দল পুয়ে থাই পার্টি বিপুল ব্যবধানে বিজয় পায়। এর পরদিনই ইংলাক পরবর্তী সরকারের জন্য পাঁচদলীয় জোট গঠন করেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, দেশের রপ্তানিখাত চাঙা করতে থাকসিনকে পরবর্তী সরকারের বাণিজ্য দূত করা হতে পারে।
এই সম্ভাবনা অস্বীকার করে ইংলাক বলেন, ‘এটা সত্য নয়। আর এমন কোনো পদও নেই। ’ বুধবার ব্যাংককে দলের প্রধান কার্যালয়ে অর্থনীতি উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে থাকসিনের কোনো ভূমিকা নেই। শুধু তিনি আমাদের নৈতিক সমর্থন এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিদেশেই তিনি অনেক ভাল আছেন। দেশে কোনো রাজনৈতিক পদ তিনি পাচ্ছেন না। তিনি শুধু জাতীয় ঐক্য চান। ’
নির্বাচনে বোনের বিজয়ের পরই অবশ্য থাকসিন বলেছিলেন, থাইল্যান্ডে আবার রাজনীতিতে ফেরার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। যদিও এর আগে মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ডিসেম্বরে দেশে ফেরার আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
ইংলাকের পাঁচদলীয় জোট সরকার থাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে তিন পঞ্চমাংশ আসনে প্রতিনিধিত্ব করছে। অবশ্য নতুন মন্ত্রিসভা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইংলাক বলেছেন, ‘আজ কোনো মন্ত্রীর নামই ঘোষণা করা হবে না। সবার আগে আমি নীতি নির্ধারণ এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১১