ত্রিপোলি: লিবিয়ার পশ্চিমাংশ অভিযানে দেশটির বিদ্রোহী সৈন্যরা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বলে বিদ্রোহীদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।
বুধবার বিদ্রোহীরা পশ্চিমের নাফুজা পাহাড় উপদ্রুত এলাকার কয়েক ডজন কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে।
এই অগ্রগতির ফলে বিদ্রোহীরা রাজধানী ত্রিপোলিতে ঢোকার ক্ষেত্রে অনেকটাই সফলতা অর্জন করলো।
সকাল থেকেই গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে চলা লড়াইয়ে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফি বাহিনীকে আল কাওয়ালিশ শহর থেকে পিছু হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
সংঘর্ষে দুই পক্ষই ভারি কামান ব্যবহার করে। বিকেলের দিকে আল কাওয়ালিশ শহর থেকে ঘন কালো ধোয়া উড়তে দেখা যায়।
গাদ্দাফি বাহিনী শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং বিদ্রোহীরা এখন রাজধানী ত্রিাপোলিকে সামনে রেখে এগুবার চেষ্টা করছে। এমনকি বিদ্রোহীরা শহরের ঘরে ঘরে গিয়ে গাদ্দাফি বাহিনীর সদস্যদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। শহরটি পুরোপুরি নিজেদের দখলে না আসা পর্যন্ত আল কাওয়লিশ শহরে বিদ্রোহীরা অভিযান চালাবে বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানায় দেশটির বিদ্রোহী দল।
নাফুজা পাহাড় এলাকার সর্বশেষ শহর ঘারিয়ান থেকে ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর আল কাওয়ালিশ। এই শহরের একটা অংশ আবার তিউনিশিয়া সীমান্তের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সীমান্ত অঞ্চলটি বিদ্রোহ চলাকালীন সময় থেকেই বিদ্রোহীদের দখলে।
ঘারিয়ান শহরটির নিয়ন্ত্রন এখনও গাদ্দাফি বাহিনীর হাতে। এই শহরের উপর দিয়ে গেছে রাজধানী ত্রিপোলিতে যাবার উত্তর-দক্ষিণের মূল সড়ক। এই সড়কের উপরই নির্ভর করে রাজধানীতে বিভিন্ন রসদ নিয়ে যাওয়া হয়।
নাফুজা পাহাড়ের বিদ্রোহীরা খুব শীঘ্রই ঘারিয়ান শহরের দখল নিয়ে গাদ্দাফির রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে আশা করছে।
কিন্তু নাফুজা পাহাড় অতিক্রম করে বিদ্রোহীদের রাজধানীর দিকে এগোবার গতি ধীর।
এদিকে দশ হাজার গাদ্দফি বিরোধী সমর্থকরা বেনগাজির রাস্তায় ‘ঈশ্বর মহান’ এবং ‘গাদ্দাফি তুমি যাও’ বলে সেøাগান দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ০৭ জুলাই, ২০১১