ওয়াশিংটন: পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির জনক আবদুল কাদির খান বলেছেন, মারাত্মক অস্ত্র প্রযুক্তি বিনিময়ের স্বার্থে ১৯৯০ সালের শেষ দিকে উত্তর কোরিয়া পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে আব্দুল কাদির খান কিছু তথ্য দিয়েছেন।
এই বক্তব্যের সমর্থনে কাদির খান ১৯৯৮ সালে তার কাছে উত্তর কোরিয়ার কর্মকমর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠির কপি তাদের দেখান। ওই চিঠিতে ওই গোপন চুক্তির বিষয়ে বলা আছে।
ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে কর্মরত পাকিস্তানের অস্ত্র কর্মসূচি বিষয়ের সাইমন হেন্ডারসনের কাছে চুক্তির নথিগুলো দিয়েছিলেন তিনি। কর্মকর্তাদের না জানিয়ে বা অনুমতি ছাড়াই পরমাণু প্রযুক্তি পাচার করছেন সরকার এমন অভিযোগ করার প্রেক্ষিতে তিনি নথিগুলো হেন্ডারসনকে দিয়েছিলেন বলে জানান কাদির খান।
হেন্ডারসন বলেন, ‘খান এটা আমাকে দিয়েছিলেন, কারণ তার মতে এটা প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করবে। এতে করে সরকারের ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। ’
ওই চিঠি এবং কাদির খানের বক্তব্য সত্য হলে এটা সত্য যে, অন্ততপক্ষে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় কিছু সেনা কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়াসহ ইরান এবং লিবিয়াতে অস্ত্র প্রযুক্তি পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এটা সত্য হলে আরো গুরুতর যা হবে তা হলো পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীতল সম্পর্ক আরো জটিল রূপ ধারণ করবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, তারা এ নথিগুলো উদ্ধার করেছে এবং এর সত্যাসত্য যাচাই করে বুধবার প্রথম তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
খানের প্রকাশিত চিঠিটি ‘গোপনীয়’ চিহ্নিত এবং এতে তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৫ জুলাই, ১৯৯৮। এতে উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জন বায়োং হো’র স্বাক্ষর রয়েছে।
এতে লেখা রয়েছে, ‘অনুগ্রহ করে সমঝোতা হওয়া নথি এবং অন্যান্য উপাদান ইত্যাদি (পাকিস্তানে উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তাকে) দিয়ে দিন। ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি উপাদান বাহনকারী বিমানটির ফিরতি পথে এগুলো দেবেন। ’
তবে চিঠিতে কোথাও ‘পারমাণবিক’ প্রযুক্তির কথা উল্লেখ নেই।
এদিকে পাকিকস্তানের সেনা কর্মকর্তারা কাদির খানের এ দাবি অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১১