ঢাকা: হোয়াইট হাউসের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রথম টুইট বার্তা লিখেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বুধবার এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটির কয়েকশ ব্যবহারকারীর উপস্থিতিতে তিনি টুইট লেখেন।
টুইটার টাউন হল @ হোয়াইট হাউজ নামে ওই অ্যাকাউন্টে প্রথম বার্তা লেখা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত টুইটার ব্যবহারকারীদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন ওবামা।
তবে এ প্রশ্নোত্তর পর্বটি ছিল টুইটারের মাধ্যমেই। টুইটারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো বার্তা ১৪০ ক্যারেক্টারের বেশি না হওয়াই ভাল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট প্রায়ই এই সীমা অতিক্রম করেন। বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বেও তিনি সেই অনভ্যস্ততার প্রমাণ দিলেন।
অনুষ্ঠানে ওবামা মোট ১৮টি প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেক ডরসি। ওবামা প্রথম প্রশ্নটির জবাব দেন ব্যক্তিগতভাবে একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে।
ওবামা বলেন, ‘আমি জানি টুইটার, আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করা উচিত ছিল’। হোয়াইট হাউজের টুইটার টাউন হলে আমন্ত্রিত ১৪০ জন অতিথির সবাই তার এই বক্তব্যে হেসে ওঠেন।
যাইহোক এখানেও প্রেসিডেন্ট ১৪০ ক্যারেক্টারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে নিজেকে সংযত করতে পারেননি। প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি গড়ে দুই মিনিট সময় নিয়েছেন।
এসময় হাউজ স্পিকার জন বোয়েনারের একটি টুইট নিয়ে রসিকতা করেন তিনি। বোয়েনারের একটি টুইটে সীমাতিরিক্ত অক্ষর থাকায় তা পর্দায় সঠিকভাবে দেখা যাচ্ছিল না।
তিনি বলেন, ‘লেখার দক্ষতা বাড়াতে জনকে আরো খাটতে হবে। ’ তার এ কথা শুনে অতিথিরা হো হো করে হেসে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টদের চেয়ে বারাক ওবামা অনেক এগিয়ে। ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণায় তিনি টুইটার, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সফলভাবে ব্যবহার করেছেন।
অবশ্য দুই দিন আগে টুইটার নিয়ে বিপত্তিতেও পড়েছিলেন তিনি। ফক্সনিউজটের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেউ তার গুপ্তাহত্যার খবর প্রকাশ করে। ওই টুইটে লেখা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১১