করাচি: পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচিতে গত চারদিন ধরে চলা সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮১ জন। এই সংঘর্ষের জের ধরে শুক্রবার নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
শুক্রবার শহরের বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শহরের খারাদার, ওরাঙ্গি এবং নতুন করাচিতে কয়েকজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অনেকে।
মধ্যরাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক ঘটনাস্থালে পরিদর্শন করেন। কায়েদ-ই-আযম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাকে খুব ভালো করে পরিস্কার করুন যে ওখানে কোনো আক্রমনের পরিকল্পনা করা হয়নি। ’
‘কিন্তু অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার অবস্থা উন্নয়নের জন্য তৎপরতা চালানো হবে এবং শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে এক হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। ’
এদিকে বৃহস্পতিবার সিন্ধের প্রধানমন্ত্রী সায়েদ কাঈম আলী শাহ শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এক জরুরী সভা করেন। পুলিশ বাহিনী এবং সিন্ধের বেসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সরকারের ঘোষণার প্রেক্ষিতে দেখা মাত্র গুলির আদেশ রহিত করা হয়।
‘বিগত দুই দিনে আমরা বিবাদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করেছি এবং সেখানে গোয়েন্দা বাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান শহরের পুলিশ প্রধান সাউদ মির্যা। ’
তিনি আরও বরেন, ‘এখন আমরা অবশ্যই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো। তাদের সম্পর্কে আমাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি শুক্রবার থেকেই শহরের অবস্থার উন্নতি ঘটবে। ’
কিন্তু পুলিশ প্রধানের এই ঘোষণার পরও শুক্রবার শহরের বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবহিনীর সংঘর্ষে ১৩ জন মানুষ মারা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই, ২০১১