ওয়াশিংটন: সাংবাদিক সালেম শাহজাদকে হত্যা করতে পাকিস্তানি সরকার অনুমতি দিয়েছিল বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন।
কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যুক্ত আছে কি না তা তিনি নিশ্চিত করে বলেননি।
এদিকে মুলেনের বক্তব্যকে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান সরকার। অপরদিকে আইএসআই শাহজাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাক-মার্কিন সম্পর্ক অবনতির এই পর্যায়ে অ্যাডমিরাল মাইক মুলেনের মতো একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করল বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
বিবিসির পাকিস্তান সংবাদদাতা আলিম মকবুল বলেন, ‘এই বক্তব্য দু’দেশের খারাপ সম্পর্ককে আরও উস্কে দেবে। ’
সাংবাদিক সালেম শাহজাদ (৪০) ইসলামাবাদে নিজ বাসভবনের সামনে থেকে ২৯ মে অপহৃত হন। অপহরণের দুই দিন পরে পাঞ্জাব প্রদেশে একটি নালা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় শাহজাদ হত্যাকা-ের জন্য পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো আইএসআইকে দোষারোপ করে। যদিও আইএসআই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শাহজাদ হত্যাকা-ে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি গত মাস থেকে কাজ শুরু করেছে।
ওয়াশিংটনে গত বৃহস্পতিবার মাইক মুলেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শাহজাদ হত্যাকা-ের বিষয়ে পাকিস্তান সরকার জানত এ খবর ভিত্তিহীন এমন কোনো প্রমাণ আমি পাইনি। ’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পাকিস্তান সরকার এই হত্যাকা-ের অনুমতি দিয়েছিল। ’
তবে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে আইএসআই‘র কোনো যোগসূত্র রয়েছে এমন স্পষ্ট প্রমাণ তার কাছে নেই বলে জানান অ্যাডমিরাল মুলেন।
এই বছরে অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের পদ থেকে অবসর নেন।
সাংবাদিক শাহজাদ হংকং ভিত্তিক এশিয়া টাইমস অনলাইন এবং ইতালীয় বার্তা সংস্থা আদোনক্রনোস ইন্টারন্যাশনালে কাজ করতেন। পাকিস্তানে তৎপর ইসলামি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো নিয়ে লেখালেখিতে তার ক্যোরিয়ার শুরু করেন। মৃত্যুর আগে তিনি পাকিস্তান নৌবাহিনীর মধ্যে আল কায়েদার অনুপ্রবেশ নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই, ২০১১