ব্যাংকক: সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থিত পুয়ে থাই পার্টির বিলুপ্তির জন্য শুক্রবার আইনী লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেমোক্রাট পার্টি। গত জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় নিষিদ্ধঘোষিত থাকসিনের থাই রাক থাই পার্টির নেতারা অংশ নেয়।
অভিজিত ভেজ্জাজিভার নেতৃত্বাধীন বিদায়ী দলটি নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুরোধ জানিয়েছে। অনুরোধে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পুয়ে থাই পার্টির নির্বাচনি প্রচারণায় নিষিদ্ধঘোষিত রাজনীতিকরা অংশ নেন। এতে করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর গত ৩ জুলাই থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন দল পুয়ে থাই পার্টি।
ডেমোক্রাটের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য বিরাট কাল্লায়াসিরি বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত থাই রাক থাই পার্টির ১১১ জন নির্বাহী সদস্যের বেশ কয়েকজন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও থাই রাক থাই পার্টির উপ-প্রধান চতুরন চাইসাং প্রকৃত পুয়ে থাই পার্টির রাজনীতি থেকে সবাইকে নিষিদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল থাই রাক থাই পার্টি ২০০৮ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ। দলের কোনো নেতা এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রকার রাজনৈতিক তৎপরতায় অংশ নিতে পারবেন না।
বিরাট আরও বলেন, ‘ওই নিষিদ্ধ রাজনীতিকদের অনেকে দলের তালিকা তৈরি এবং বিভিন্ন আসনে প্রার্থী মনোনয়নের কাজও করেছেন। এমনকি তারা পুয়ে থাই পার্টির নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণও করেছেন। থাকসিনের ভাবনা অনুযায়ী পুয়ে থাই কাজ করেছে--এভাবেও বলা যায়।
ডেমোক্রাটরা চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। কারণ অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে থাকসিন এবং চতুরন আরও পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হবেন বলে জানান বিরাট।
অভিযোগ রয়েছে, দেশটির হবু প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আগামী রোববার তার ভাই থাকসিনের সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন। তবে ইংলাক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। থাকসিন সিনাওয়াত্রা এ মুহূর্তে স্বেচ্ছা নির্বাসনে হংকংয়ে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী সরকারের কৌশলপত্রের খসড়া তৈরি করতে আমি এখন খুবই ব্যস্ত। আর হংকং যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই, আমি ব্যাংকক ছাড়ছি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১১